চীনা বিনিয়োগে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি
চীনের বিনিয়োগে ফের চাঙ্গা হতে শুরু করেছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানে বড় পরিবর্তন আসছে সত্য। এতে পাকিস্তানের বড় বড় ব্যবসায়িক খাতগুলো এখন চলে যাচ্ছে চীনাদের দখলে। ফলে স্থানীয়দের সব সম্পত্তি ও বাড়ি চীনা দখলে চলে যাওয়ার হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতি চীনা বিনিয়োগের কারণে ত্বরান্বিত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু শঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। তাদের মতে, চীনা ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বড় বড় ব্যবসাগুলো নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ব্যবসা ও সম্পত্তিতেও ভাগ বসানোর আশঙ্কা আছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে পাকিস্তানে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে চীন।
এসব বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তান হতে আরোহিত কাঁচামাল সরাসরি চলে যাচ্ছে চীনে। এছাড়া চীনা অর্থায়নে পাকিস্তানের মাটিতেই উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য। এসব পণ্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতে সহজেই রফতানি করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছে এমন খাতগুলোও পাকিস্তান সরকার হতে কিনতে চাচ্ছে চীন।
গুঞ্জন আছে, পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন খাতে অংশিদারিত্ব নেবে চীন। এসব খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাকিস্তান রেলওয়েস, পাকিস্তান আন্তির্জাতিক বিমান এবং পাকিস্তান স্টিল মিলস। পাকিস্তান সরকার হতেও এসব খাতে অংশিদ্বার চাওয়া হচ্ছে। যার কারণে খুব শিগগির চীনা সরকার এসব খাতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলা ধারণা বিশ্লেষকদের।