ফেসবুকে প্রেম, ঘুরতে নিয়ে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ
পিবিসি ২৪, ঢাকা: মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পদ্মা সেতুর জশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ঘুরতে নিয়ে এসে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজনের মধ্যে ছয় যুবককে গ্রেফতার করেছে লৌহজং থানা পুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে লৌহজং জশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের উত্তর জশলদিয়া গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে অমায়িক (২৩), একই গ্রামের মৃত রহিম শেখের ছেলে রনি শেখ (২৪), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাদবরকান্দির চাঁন মিয়া শেখের ছেলে জীবন শেখ (২৫), শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামের মো. মাসুদ আলী শেখের ছেলে আদনান (১৯), মৃত শাকিব হোসেনের ছেলে কাইফি মীর (২২) ও মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের জশলদিয়া গ্রামের আবদুস সালাম বেপারির ছেলে রবিন (২৬)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কেরানীগঞ্জের ষষ্ঠ শ্রেণি ও দশম শ্রেণির দুই কিশোরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় আদনান ও রিফাত নামে দুই বন্ধুর। কিছুদিন পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে প্রেমিকরা ওই কিশোরী দুজনকে শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে নিয়ে আসে।
ঘাটে ঘুরানো শেষে গভীর রাতে জশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্জন একটি ঘরে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয় তাদের। এরপর বুধবার সকালে দুই কিশোরী কেরানীগঞ্জে তাদের বাসায় চলে যায়।
পরে ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরীর পরিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানায়। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লৌহজং থানা পুলিশকে জানালে রাতভর অভিযানে চালিয়ে বৃহস্পতিবার ছয় যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনার বিবরণ পেয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ছয় যুবককে আটক করা হয়। তিনি জানান, এ বিষয়ে লৌহজং থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত সোহেল (২৪) পলাতক রয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।