এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট বাঁধছে ফ্রান্স-ভারত -যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশ
পিবিসি নিউজ :এরদোগান কে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে একসঙ্গে জোট বেঁধেছে শত্রু রাষ্ট্রগুলো। গ্রিসের সাম্প্রতিক তৎপরতা ভূমধ্যসাগরীয় ও উপসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশটির রাজধানী এথেন্সে ফিলিয়া ফোরামের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেদিনের বৈঠকে গ্রিস, সাইপ্রাস, বাহরাইন, মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিসের বক্তব্যের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয়। তিনি এই ফোরাম গ্রিসের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেন। এছাড়া তিনি ভূমধ্যসাগর ও উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে গ্রিস সংযোগ স্থাপন করতে চায় বলে জানান।
এসময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস দেনদিয়াস জানান আমাদের লক্ষ হচ্ছে হুমকি, সংঘর্ষ, উগ্রবাদিতা, অসহিষ্ণুতা এবং ধর্মের বিকৃতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা তৈরি করা।
ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেনদিয়াসের ফোরামে যে বিবৃতি দিয়েছে তা তুরস্কের আগ্রাসনের ইঙ্গিতের প্রতি লক্ষ করে। ওই অঞ্চলে এরদোয়ান তার খেলাফতে উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরন করতে চান।
ওই ফোরামে আলোচনা হয়, এ ধরণের প্ল্যাটফর্ম ন্যাটোর তুরস্কের ওপর নির্ভরতা কমাবে। এছাড়া সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, সাইপ্রাস এবং ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের হস্তক্ষেপ কমাতে পারে এই প্ল্যাটফর্ম।
আরেক ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের দাবি, এ জাতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি গ্রিসের একটি তীক্ষ্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে দেশটি ইউরোপীয়ন এবং আরব বিশ্বকে একত্রে আনতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া এই ফোরামের ফলে এরদোয়ানের রাজস্ব উত্পাদনের কর্মসূচিকে বিরাট ধাক্কা দেবে। তুরস্ক এবং বিশ্বে এরদোয়ানের খেলাফত প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে দেশটি। গ্রিসের এই ফোরাম এরদোয়ানের এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিশেষজ্ঞ আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে তুরস্কের তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম পূর্বাঞ্চলীয় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সংকট এবং সেখানকার স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে। তুরস্কের আগ্রাসন দমাতে গ্রিসের এই ফোরামে যাতে ভারত, সিরিয়া এবং ফ্রান্স পুরোপুরি সদস্য হয় তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চলছে।