আলজাজিরার সেই ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ফেরত দিল আদালত
পিবিসি নিউজ: কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে যে মামলার আবেদন করা হয়েছিল- তা ফেরত দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক বাদী হয়ে আলজাজিরায় রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে এ মামলা দায়ের করেন। সেদিন ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কোনো আদেশ দেননি। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলার ৪ আসামিরা হলেন- আলজাজিরার ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তেফা সউয়াগ, শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছিলেন- আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনামহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছে। তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া, মিথ্যা তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী একটি প্রতিবেদন প্রচার করে এবং ওই প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। যা পরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ওই প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে এবং তথ্য-উপাত্ত বা দলিলাদি উপস্থাপন না করেই ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ও সাক্ষাতকারের ছবি ব্যবহার করে, কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও সাজানো তথ্যচিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আলজাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে অপপ্রচার করেছে। যা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে। এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছেন।