নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্প, নিরাপদে বাংলাদেশ দল
পিবিসি নিউজ: প্রবল ভূমিকম্পের পর নিউজিল্যান্ডে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টা ২৭ মিনিটে (শুক্রবার) ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় দেশটির উত্তর অংশে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব সমীক্ষা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা দেখে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলবর্তী অঞ্চলের শহর গিসবর্ন থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে সৃষ্টি হওয়া এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামি সৃষ্টির ব্যাপারে সতর্ক করেছে হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র, ‘প্রাথমিক ভূমিকম্পের মাপকাঠি অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ৩০০ কিলোমিটার অঞ্চলে ভয়ংকর সুনামি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।’
[content-egg module=AE__amazoncom]
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দক্ষিণ দ্বীপের এই শহরে নিয়মিত ভূমিকম্প হলেও আজকের এই ভূমিকম্প অতটা টের পাওয়া যায়নি বলেই জানা গেছে। বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা নিয়েও কোনো সংশয় নেই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের কথা শুনে আমি ক্রাইস্টচার্চে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ক্রাইস্টচার্চ অনেক দূরে। কাজেই দলের কোনো সমস্যা হয়নি। ওখানে এমনকি কোনো সতর্কবার্তাও জারি করা হয়নি।’
বার্তা সংস্থা এএফপি অবশ্য জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৬.৯। দুই বার্তা সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে দেশটির জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনইএমএ) জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের উপকূলের কিছু অঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে আছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রের সবচেয়ে নিকটবর্তী শহর গিসবর্নে ৩৫ হাজার মানুষের বাস। কেপ রানওয়ে থেকে তোলাগা উপসাগরের মধ্যবর্তী অঞ্চলের সবাইকে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ ধারণা করছিল, স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টা ৩৪ মিনিটে সুনামির প্রথম ঢেউ আঘাত হানতে পারে। আগামী কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ইনস্টাগ্রামে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন, ‘আশা করি সবাই ওখানে ভালো আছেন। বিশেষ করে পূর্ব উপকূলের যাঁরা ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি করে টের পেয়েছেন।’