রাজধানীর সড়কগুলোতে শুনশান নীরবতা
পিবিসি নিউজ ঃ সরকার কর্তৃক পূর্বঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউন কার্যকর হওয়ায় রাজধানীর সড়কগুলোতে আগের চেয়ে নিস্তব্ধতা বেড়েছে। বেশিরভাগ সড়কই প্রায় যানবাহন শূন্য হয়ে পড়েছে।
করোনার সাম্প্রতিক ছোবল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতেই গত বৃহস্পতিবার টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ঈদ উপলক্ষে প্রায় আট দিন লকডাউন শিথিল থাকার পর আবারও শুক্রবার থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুনরায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। তাই শুক্রবার রাজধানীর সড়কগুলো গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন একটা যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। যান চলাচল বন্ধ থাকায়, শুক্রবার সকালে ঈদ শেষে ঢাকামুখী মানুষদের পায়ে হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
সরকারের সাম্প্রতিক লকডাউনের বিধিনিষেধে সকল পেশার মানুষদেরই নিজ কর্মস্থল এলাকায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। কেননা, বর্তমান লকডাউনে সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কোর্ট, কারখানাসহ সকল প্রকার রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাব ও সেনাবাহিনীর তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে রাস্তায় বের হওয়া মানুষ ও যানবাহনের চালকদের।
তবে সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে যাত্রীবাহী যানবাহন প্রবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আখতার হোসেন জানান, রাস্তায় আটকা পড়া যানবাহনগুলোকেই উত্তরা এবং আব্দুল্লাহপুর দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে এই ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ মোতাবেক আমরা কঠোরভাবে এই লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছি। শুধুমাত্র জরুরি সেবার গাড়িগুলোই লকডাউনে চলাচল করতে পারবে।’
তবে শুক্রবার সকালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলার মানুষদের রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখ যেমন, টঙ্গী ব্রিজ, আমিনবাজার ব্রিজ, বাবুবাজার ব্রিজ এবং পোস্তগলা ব্রিজ দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। ঢাকায় প্রবেশের মুখে বাসযাত্রী এসব মানুষদের বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই রাজধানীতে প্রবেশ করতে হয়।
এসময় মানুষদের মাস্ক পড়া ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই লকডাউন। বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।’