পরামর্শক ব্যয় মাসে ৩৫ লাখ টাকা
পিবিসি নিউজ ঃ সিটি করপোরেশনের অভিজ্ঞ প্রকৌশলী থাকতেও সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতি মাসে পরামর্শক খাতে খরচ ধরা হয়েছে গড়ে ৩৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা। রুটিন-মাফিক কাজের জন্য পরামর্শক ব্যয় কমানোর জন্য বলেছে পরিকল্পনা কমিশন। আর প্রতিটি ব্রিজ নির্মাণে চার কোটি টাকা খরচ প্রাক্কলন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক খাতসহ বিভিন্ন ব্যয় নিয়ে আপত্তি তুলে কমানোর সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ ও আইএমইডি। তাদের মতে এই খরচগুলো অনেক বেশি
ভৌত অবকাঠামো বিভাগ প্রধানের তথ্য ও চসিকের প্রধান প্রকৌশলীর দেয়া প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার জন্য পণ্যবাহী গাড়ি সিটি করপোরেশন এলাকার সড়ক ব্যবহার করে থাকে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে চট্টগ্রামে নাগরিক সুবিধার চাহিদাও বেড়েছে। তাই শহরের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। শহরের ফুট ওভারব্রিজ, কালভার্ট, ব্রিজ, ওভারপাস, গোল চত্বর, রাস্তা নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য দুই হাজার ৪৯৯ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়, যেখানে সরকারের অর্থায়ন এক হাজার ৯৯৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং করপোরেশনের ৪৯৯ কোটি ৮১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগামী ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা। প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো হলোÑ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭৬২ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন, ৬০০ মিটার ওভারপাস নির্মাণ, ৩৮টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, ১৪টি ব্রিজ নির্মাণ, ২২টি কালভার্ট নির্মাণ, ১০টি গোল চত্বর নির্মাণ।
ব্যয়ের হিসাবে দেখা যায়, ৭৬২.৮৩ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১০৪ কোটি ৩৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা। প্রতি কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়নে খরচ পড়ছে দুই কোটি ৭৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ৬০০ মিটার ওভারপাস নির্মাণে ব্যয় হবে ৮৪ লাখ টাকা। ৩৮টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে খরচ হবে ৫৮ কোটি টাকা। এখানে প্রতিটি ফুট ওভারব্রিজে ব্যয় হবে এক কোটি ৫২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ১৪টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, যাতে খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা। ফলে প্রতিটি ব্রিজে খরচ হচ্ছে চার কোটি টাকা। ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে ২২টি কালভার্ট, যাতে খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। প্রতিটি কালভার্ট নির্মাণ খরচ হবে ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ১০টি গোল চত্বর নির্মাণে যাবে ১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি গোল চত্বরের জন্য খরচ এক কোটি ২০ লাখ টাকা।