চয়নিকা চৌধুরী আটক, নেয়া হয়েছে ডিবি কার্যালয়ে
পিবিসি নিউজ ঃ পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জানা যায়, এদিন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে বের হয়ে আসার পর সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে চয়নিকার গাড়ি আটকায় ডিবি পুলিশ। সেখানে অনেক্ষণ তার সাথে কথা বলেন ডিবির কর্মকর্তারা। পরে হেফাজতে নেয়া হয় তাকে।
চয়নিকা চৌধুরীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর ডিবির (উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘পরীমণি ও রাজের মামলা আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরা যে কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি।’
ডিবি কার্যালয়ে চত্রিনায়িকা পরীমণি ও চয়নিকাকে মুখোমুখি করে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। চয়নিকার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, চয়নিকা চৌধুরী বাংলাদেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি।
‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। ওই সিনেমার নায়িকা পরীমণি। এই সিনেমার কাজের পর থেকে নায়িকা পরীমণির সাথে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। চয়নিকা চৌধুরীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন পরীমণি।
গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে নানা মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাকে নেয়া হয় র্যাবের সদর দফতরে। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে র্যাব। একই দিন তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, গত ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। পরে এ ঘটনায় সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন পরীমণি।
বোট ক্লাব কাণ্ডের পর পরীমণির পাশে দেখা যায় চয়নিকা চৌধুরীকে। কিন্তু গত ৪ আগস্ট পরীমণি আটক হওয়ার পর তাকে আর পাশে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে অবশ্য চয়নিকা গণমাধ্যমে বলেছেন, পরীমনির সাথে তার যোগাযোগ ও আড্ডা নিতান্ত পেশাগত কারণে।