পরীমণির সহযোগী জিমি ও এক নারীকে খুঁজছে ডিবি
পিবিসি নিউজ ঃ চিত্রনায়িকা পরীমণির অন্ধকার জগতের দুই সহযোগীকে খুঁজছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর মধ্যে একজন ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণির সাথে যাওয়া জিমি এবং অপরজন পরীমণিকে অন্ধকার জগতে পা দিতে সহযোগিতা করা এক নারী।
শুক্রবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেন, পরীমণির মামলাটি আমরা তদন্ত করছি। পাশাপাশি আমরা তাকে আরো কয়েকটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, পরীমণি অন্ধকার জগতে পা দিয়েছেন। এ পথে আসতে এক নারী তাকে সহযোগিতা করেছেন। সেই নারীকে আমরা খুঁজছি। তার বিষয়ে নজরদারিও করছি।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমণির সাথে জিমি নামের এক তরুণ গিয়েছিলেন। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সবাইকে আমরা আইনের আওতায় আনতে পারব।
সেই নারীর নাম জানতে চাইলে এ ডিবি কর্মকর্তা বলেন, আমরা এ মুহূর্তে নামটি বলতে চাচ্ছি না।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতো, সেগুলো কাদেরকে নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সাথে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেফতার করা হবে।
প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
৪ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে নানা মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাকে নেয়া হয় র্যাবের সদর দফতরে। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে। পরদিন তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে র্যাব। একই দিন তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।