প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে পালাল দুই আসামী, বরখাস্ত ৩ পুলিশ
পিবিসি নিউজঃ পালিয়ে গেছে। ঘটনায় ৩জন পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বাহিষ্কার করা হয়েছে। একইসাথে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক জিহান আহমদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ হেড কোর্য়াটারে জানানো হয়েছে।
বুধবার সকালে আদালতের নির্দেশে আসামীদেরকে পুলিশ হেফাজতে ঢাকা প্রেরণ করা হয়। পরে ঢাকায় ডিএনএ টেস্ট শেষে দুপুরে নোয়াখালী আনার পথে মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া একটি হোটেল থেকে পালিয়ে যায় তারা।
পলাতক আসামীরা হচ্ছেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার মিয়ারপুর এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল (২৪), বগাদিয়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে দেলোয়ার হোসেন(২৮)।
জানা যায়, দুপুরে ঢাকা থেকে ফেরার পথে মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া আল মদিনা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে পুলিশ হেফাজতে দুপুর খাবার খাওয়ার জন্য নামে আসামীরা। এসময় আসামীগণ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিবে বলে দু’জন একসাথে হোটেলের একটি টয়লেটে যায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আসামীরা ফিরে না আসায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা টয়লেটের দরজা ভেঙে দেখে ভেতরে কেউ নেই। তবে টয়লেটের জানালাটি ভাঙা ছিলো।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো শহীদুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে আসামীদেরকে ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। পরীক্ষা থেকে নোয়াখালী আসার পথে হোটেলের টয়লেটের জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়। পলতাক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অপরাধে ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পলায়নের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ফারুক হোসেন) কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার