বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী রাশিয়া
পিবিসি নিউজঃ রাশিয়া থেকে সরকারিভাবে (জিটুজি) ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সাথে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। অন্য দিকে বাংলাদেশ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি।
বুধবার কৃষিমন্ত্রীর সাথে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে দু’পক্ষ এ আগ্রহ ব্যক্ত করে
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন- বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. এ কে এম মুনিরুল হক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরীফা আহমেদ, ঢাকার রাশান দূতাবাসের অ্যাটাচে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদেরকে ডিএপি সার ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার চার দফা সারের দাম কমিয়েছে। ডিএপির দাম ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করেছে। এর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে চাই। এ ব্যাপারে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ জিটুজি ভিত্তিতে এমওপি সার আমদানি করছে। এ ব্যাপারে দু’দেশের মধ্যে একটি এমওইউ বিদ্যমান রয়েছে।
ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে গোল আলু রফতানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু আমদানির বিষয়টি পুন:বিবেচনার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে এখন অনেক উন্নতমানের আলু উৎপাদিত হচ্ছে। রাশিয়া আলু আমদানি পুনরায় শুরু করতে পারে। জবাবে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলু আমদানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি বলেন, বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়াতে এ আম রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম নিতে রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও রাশিয়া প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি।