এমপি মহিবুরের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
পিবিসি নিউজঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া রাঙ্গাবালী আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তার নিজ ইউনিয়েনের সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে-মেয়েরা পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ধুলাস্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত জামান খলিফার ছেলে কেএম মেহেদী হাসান ও মেয়ে জিনিয়া জেসমিন লিখিত বক্তব্যে জানান, তাদের পিতা সাবেক ধুলাস্বর ইউনিয়নের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রয়াত জামান খলিফা ২০০৩ সালে আলীপুর নিবাসী জনৈক আদম আলীর কাছ থেকে ২.৩৭ একর জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। তাদের ভোগদখলীয় জমিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকানঘর ভাড়া দিচ্ছেন।
এমপি মহিব্বুর রহমান ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় একটি ভুয়া দলিল সৃজন করে তাদের বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার ভূমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তার কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সহকারী কমিশনার ভূমি, সহকারী জজ আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিনি মামলা করে হেরে যান।
পরে ২০০৫ সালে হাইকোর্টে তিনি একটি সিভিল রিভিশন দাখিল করলে হাইকোর্ট তা গ্রহণ করে জেলা জজ আদালতের আদেশ বাতিল করেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে জামান খলিফা সুপ্রিম কোর্টে আপীল করলে কোর্ট চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিরোধীয় ভূমিতে স্থীতিবস্থার আদেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন যে, সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট আদেশ থাকার পরও এমপি মহিব্বুর রহমান একজন আইন প্রণেতা হয়েও আইন ভঙ্গ করেছেন। সরকার দলীয় এমপি হওয়ায় শুধুমাত্র ক্ষমতার প্রভাবে তিনি এ কাজ করেছেন। গত দুই দিন ধরে তার লোকজন বিরোধীয় জমির দোকানপাট ভেঙ্গে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। নিচু যে জমি রয়েছে, সেখানে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। তার ভয়ে স্থানীয় কোন আইনী সহয়তা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তাদের। এ বিষয়ে মহিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার জন্য গেলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কপি পেলে পুলিশ কার্যকর ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করবে।
অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান জানান, যে জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে, সে জমি নিয়ে কোন বিরোধ নেই। সে জমি জনৈক সামসুন্নাহারের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ম মেনে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। তৃতীয় কোন পক্ষের পরামর্শে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, জামান খলিফা উপজেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রাজনৈতিক কারনেও তার ছেলে-মেয়েরা এটি করে থাকতে পারে। তিনি সাংবাদিকদের সরেজমিনে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রনয়নে দাবি জানান।