কর্মচারীদের বেতন কেটে শোক দিবস পালন, দুদকে অভিযোগ
পিবিসি নিউজঃ জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী পালনের গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন কেটে নিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামিম আক্তার। কেটে নেয়া বেতনের টাকা শোক দিবসের কর্মসূচীতে খরচ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান প্রকৌশলীর এমন ‘অনৈতিক’ কর্মকাণ্ডের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শাহীনুর আলম নামে এক প্রকৌশলী।
দুদকে করা অভিযোগে শাহীনুর আলম বলেন, গত ৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আন্তঃমন্ত্রণালয় মনিটরিং ও সমন্বয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় জাতীয় শোক দিবসের কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়নে গণপূর্তকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই কর্মসূচী বাস্তবায়নের খরচ সরকারীভাবে বহন করা হবে বলে জানানো হয়। সরকারীভাবে অর্থ ব্যয়ের কথা থাকলেও তিনি গণপূর্তের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। গত ১১ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি সভা করেন (জুম মিটিং)। ওই সভায় তিনি নির্দেশ দেন শোক দিবসের উদযাপনের ব্যয় হিসেবে গণপূর্তের সকল জোন সার্কেল এবং প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতন কেটে সংগ্রহ করতে হবে। এ জন্য তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে সভাপতি করে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশীলী (ডিজাইনকে) সদস্য সচিব করে ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার জহিরুল হক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনের টাকা কেটে নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যয় বহন করা কোনোভাবেই আইনের মধ্যে পড়ে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ কাজ করে থাকলে তা অবৈধ। এ বিষয়টি দুদক খতিয়ে দেখবে। অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী জানান, গণপূর্ত অধিপদফতরকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে সরকারি বরাদ্ধ থাকার কথা। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যেকের বেতন কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। অনেক প্রকৌশলী ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি। প্রতিবাদ করলেই বদলী বা বরখাস্ত করা হতো। এ কারণে এ বিষয়ে দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার জন্য আমাদের টিম আছে। তারা যাচাই-বাছাই করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া প্রধান প্রকৌশলীকে ফোন করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।