বাফেলো নিউ ইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে বিএনপি’র ৪৩ তম: প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট ‘জিয়াউর রহমান’ এর নিজ হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি’র ৪৩তম: প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাতটা তিরিশ মিনিটে স্থানীয় ‘আলাউদ্দিন রেস্টুরেন্ট’ এ কেক কাটার মধ্যে দিয়ে বাফেলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করে। শুরুতেই কোরআন তেলায়াত ও দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ ‘জিয়াউর রহমান’র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এবং আরাফাত রহমান কোকো’র রুহের মাগফেরাত কামনা সহ বিএনপি চেয়ারপার্সন, দেশমাতা বেগম ‘খালেদা জিয়া’ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘তারেক রহমান’র রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাফেলো নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক ও যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা’র সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন কমিটির যুগ্ন সদস্য সচিব মুন্সী মোঃ সাজেদুর রহমান টেনটুর সভাপতিত্বে যুক্তরাষ্ট্রে এ আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন জুয়েল চৌধুরী।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা’র সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক আবুল বাশার।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা’র সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন কমিটির যুগ্ন সদস্য সচিব মোঃ মতিউর রহমান লিটু।
সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন-বাফেলো বিএনপি’র নের্তৃবৃন্দ যথাক্রমে মোঃ মোঃ কাশেম পাটোয়ারী, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জালাল হোসেন, মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ কামাল উদ্দিন, ইমদাদুল হক ডালিম রিপন, শফিকুল আলম, শাহাদাত আলম, মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সৈয়দ কে উদ্দিন, মোঃ শাহাদত রহমান, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ ফখরুদ্দিন, মোঃ হায়দার আবেদীন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ মাইনুল উদ্দিন, মোঃ ফয়সাল খান, মোঃ মুন সুর আলম মুন্না, মোঃ মঞ্জু, আবুল কাশেম, আবু সাঈদ, আর্যু, রইসো, বদরুল আলম, তানিম, তৈবুর রহমান, হুমায়ুন কবির, মোঃ জগলুল হক শাহীন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল কাইয়ূম সানি, আব্দুল কাইয়ুম, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট ‘জিয়াউর রহমান’ একজন ক্ষণজন্মা নেতা, জাতীর সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে তিনি নিজের জীবন ও বউ, বাচ্চাদের মায়া ত্যাগ করে মা, মাটি-দেশ’র মানচিত্র রক্ষা এবং দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে অস্ত্র হাতে শত্রুর সন্মুখে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এবং নের্তৃত্ব ও দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি সমগ্র জাতিকে যুদ্ধের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে আহবান জানিয়েছিলেন এবং নিজে ও রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন। তার এ অসামান্য অবদানের মধ্য দিয়ে দেশ ‘স্বাধীন’ হয়েছিলো। ১৯৭৫ সালের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে যাঁতাকল থেকে তিনি জাতিকে মুক্ত করেছেন। এর পর একদলীয় শাসন ব্যবস্থার ‘সমাধি রচনা’ করে বাংলাদেশী জাতিকে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ও উপহার দিয়েছিলেন। জাতির মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিলেন ওই মহান নেতা শহীদ জিয়াইর রহমান। একটি বিভক্ত জাতিকে তিনি একত্রিত করেছিলেন বলে ও বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন। প্রবাশে থাকা দেশের সু’নামধন্য ওই সব নের্তৃবৃন্দ আরো বলেন, এর পর ‘জিয়া’ নতুন বিপ্লব শুরু করে বাংলাদেশ কে একটি সম্বৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে সমগ্র বিশ্ব পরিমন্ডলে পরিচিতি লাভ করার সুযোগ ও করে দিয়েছিলেন।
অথচ, স্বাধিন-স্বার্বভৗম: বাংলাদেশের সাবেক সেনা বাহিনী প্রধান, দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, সমগ্র মুসলিম জাহানের অবিসংবাদিত নেতা, মহান স্বাধিনতা যুদ্ধের অগ্রবীর সেনানী/বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের আপামর জনগোষ্টির প্রাণাধিক প্রিয় নেতা, দেশ, স্বাধিনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সারা বিশ্ববাসীর কাছে অধিক পরিচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ ‘জিয়াউর রহমান’ কে নিয়ে বাংলাদেশের আওয়ামী দলীয় সরকার’র প্রধানমন্ত্রী ও তার অনুসারি গুটি কতেক মন্ত্রী এবং দলীয় এমপি’রা কটুক্তি করার সাহস দেখানোর তিব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে’ যে দিন তাদের কে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।