১৪ ছাত্রের চুল কর্তন: দুই সপ্তাহ সময় পেলেন রবির সেই শিক্ষক
পিবিসি নিউজঃ সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে তদন্ত কিমিটি। আগামী ২১ অক্টোবর দুপুর ১টায় উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সময় প্রার্থনা করে ই-মেইলে পাঠানো আবেদনে তিনি তার শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন।
রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, অভিযুক্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে দুই দফায় গত ৩ ও ৭ অক্টোবর তদন্ত কমিটির কাছে এসে তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে উপস্থিত না হয়ে ই-মেইলে তার আরও ১৪ দিনের সময় প্রয়োজন বলে জানান। এই ই-মেইলটি বার বার পাঠিয়ে আরও কিছুদিন সময়ের জন্য আবেদন জানান।
প্রথমে তাকে আর বাড়তি সময় দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু বার বার ই-মেইলে সময়ের আবেদন করার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তাকে তার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দিতে তার চাহিদা অনুযায়ী দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে হিসাব করে দুই সপ্তাহ পরে আগামী ২১ অক্টোবর দুপুর ১টায় তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে তাকে।
যাচাই-বাছাই করে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যেহেতু অভিযুক্ত শিক্ষক উপস্থিত না হয়ে সময়ের জন্য আবেদন করেছেন এবং নতুন করে সময় দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে উনার বক্তব্য শোনার পরই সবকিছু মিলিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে কোনো কারণে ওই শিক্ষক যদি শেষ পর্যন্ত উপস্থিত না হন সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ অর্ধশত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে তদন্ত কমিটি। কিন্তু সেদিন দুপুর ১২টায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত না হয়ে ১৪ দিনের সময় প্রার্থনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তিনদিনের সময় দেয় তদন্ত কমিটি, যা গত ৭ অক্টোবর দুপুর ২টায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত তার জন্য তদন্ত কমিটি অপেক্ষা করলেও তিনি না এসে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে আরও দুই সপ্তাহের জন্য সময় আবেদন করেন। তার পেরিপ্রক্ষিতেই তাকে এই সময় দেওয়া হলো।