ফেনীতে ৭ পা নিয়ে গরুর বাছুরের জন্ম
পিবিসি নিউজঃ দাগনভূঞা উপজেলায় সাত পা নিয়ে একটি গরুর বাছুরের জন্ম হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাছুরটি দেখতে আশপাশের মানুষ ভিড় জমিয়েছে।
গত অক্টোবর বিকেলে উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মধ্যপাড়ার রূপধন মিয়ার একটি গাভি সাত পা বিশিষ্ট বাছুরটির জন্ম দেয়। আজব বাছুরটি দেখতে সে বাড়িতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মধ্যপাড়ার বক্স আলী ভূঞা বাড়ির রূপধন মিয়া প্রায় ১০ বছর ধরে গাভিটি লালনপালন করে আসছিলেন। এর আগেও গাভিটি তিনটি স্বাভাবিক বাছুর জন্ম দিয়েছে। তবে এবার যে বাছুরটির জন্ম দিয়েছে, সেটির পা ৭টি। চারটি স্বাভাবিক পা থাকা সত্ত্বেও বাছুরের পিঠের ওপরের অংশে ছোট ছোট তিনটি পা আছে। সাত পা নিয়ে গরুর বাছুর জন্মের খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাছুরটিকে দেখতে শিশু-কিশোরসহ সব শ্রেণির মানুষ ভিড় করছে।
গাভীর মালিক রূপধন মিয়া বলেন, বাছুরটি জন্মের পর মায়ের দুধ পান করছে না। তবে ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদী সঠিক চিকিৎসা হলে বাছুরটি সুুস্থ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মো. তারেক মাহমুদ বলেন, এটি বিরল আকৃতির বাছুর। প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন মাঠকর্মী সরেজমিন বাছুরটি দেখেন ও খোঁজখবর নেন। এটি জন্মগত ত্রুটি।
ফেনী আলীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, এটি মহান আল্লাহর কুদরত। তিনি দেখিয়েছেন, তিনি চাইলে কি না করতে পারেন। গরুর চারটি পা হওয়া স্বাভাবিক। তিনি চাইলে পা সাতটিও দিতে পারেন। তাইই বাস্তব হল। মহান আল্লাহ এর মাধ্যমে আমাদের অনেক শিক্ষণীয় উদাহরণ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপজেলা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন। যেহেতু বাছুরটির জন্মগত ত্রুটি আছে, সে কারণে এটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাছুরটি কিছুটা সবল হয়ে উঠলে আশা করছি অপারেশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত পাগুলো অপসারণ করে স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।