সামিয়া রহমানের গবেষণাসংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে, শুনানি রোববার
পিবিসি নিউজঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের গবেষণাসংক্রান্ত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং এ সংক্রান্ত সব নথি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এসব নথি দাখিল করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির পক্ষে আইনজীবী এসব প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আগামী ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
সামিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন আদালতে সামিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাঈম আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল বলে অভিযোগ ওঠে।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগে মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই চুরির কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির ‘প্রমাণ পাওয়ায়’ সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক পদাবনতি করা হয়। একই সঙ্গে তার গবেষণা সহযোগী অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকেও দুই বছর একই পদে থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা। পরে সেসব সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।