দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেবিনে কিশোরী ধর্ষণ
পিবিসি নিউজঃ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে কেবিনে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে একজনকে ও বিকালে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ এলাকা থেকে ধর্ষণের অভিযোগে অপর আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষক মন্টু সিকদার (৩০) উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড চরহোসনাবাদ গ্রামের হানিফ সিকদারের ছেলে এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী শহিদুল ইসলাম (৩৮) একই উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বড়গোপালদী গ্রামের আঃ জব্বারের ছেলে ও একই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডবয়।
জানা যায়, ওই কিশোরী (১৬) উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামে নানা বাড়ীতে থেকে দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো এবং একই বিদ্যালয়ের ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। একই বাড়ীর মন্টু সিকদার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বুধবার সকালের দিকে মন্টু হাসপাতালে ভর্তি তার অসুস্থ্য মাকে দেখার কথা বলে ওই কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ২নং কেবিনের সামনে নিয়ে গেলে ওয়ার্ডবয় শহিদুল ওই কেবিনের তালা খুলে দেয়। তারপর মন্টু ওই কিশোরীকে কেবিনে ঢুকিয়ে দরজা আটকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিশোরীর ডাকচিৎকার শুনে হাসপাতালের নার্স ও অন্যান্যরা আসলে মন্টু দরজা খুলে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষণিক আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অনিক মিত্র বিষয়টি ফোনে দশমিনা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার সকালেই ওই কিশোরী বাদী হয়ে দশমিনা থানায় মামলা দায়ের করে।
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসান দ্য ডেইলী অবজারভারকে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিম ওই কিশোরীকে মেডিকেল করার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।