রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে নিহত ৭
পিবিসি নিউজঃ কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপে মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
শুক্রবার ভোরে উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ মুজিব নামে একজনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী-২ এর ইদ্রিস (৩২), বালুখালী-১ এর ইব্রাহীম হোসেন (২২), ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসুন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক (২৬) ও আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২), এফ/২২ ক্যাম্প-১৮ এর বাসিন্দা হাফেজ নুর হালিম (৪৫), মৌলভী হামিদুল্লাহ (৫০) ও নূর কায়সার (১৫)।
১৮নম্বর ক্যাম্পে কর্মরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি শিহাব কায়সার খান বলেন, কী কারণে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হলেও এখনও তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আরও ২০ জনকে আহত অবস্থায় এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের সদস্যরা অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিণত হওয়া কক্সবাজারের এই ক্যাম্পগুলোতে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলোকে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ বা ‘চোরাকারবারিদের’ কাজ বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
তবে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ খুন হওয়ার পর ক্যাম্পে সক্রিয় বিভিন্ন পক্ষের অনেক বিষয় এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচনায় আসছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে গুলি করে হত্যা করা হিবুল্লাহকে, যিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, প্রত্যাবাসনের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করা মুহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) হত্যা করেছে।