দীঘিনালায় বিএনপি নেতাকে নৌকার মনোনয়ন, বাতিলে দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
পিবিসি নিউজঃ দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মো. আবদুল বারেককে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ায় তা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৩নং কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২০০১-২০০৬সালে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দায়িত্ব পালন করেছি। তখন বারেকসহ বিএনপি নেতারা আামাদের মামলা, হামলা, জুলুম ও নির্যাতন করে বাড়ি ছাড়া করছে। ২০১৩ সালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০১৪ সালে নির্বাচনে কেন্দ্র সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিল। বর্তমানে তার আপন দুই ভাই বিএনপির বড় নেতা এবং তার পরিবারের সবাই বিএনপি সমর্থিত। বারেক মূলত আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে ব্যবসায়ী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার জন্য। আওয়ামী লীগের সুনাম ও সাংগঠনিক দক্ষাতা ক্ষুণ্ন করার জন্য কিছু কুরুচিপূর্ণ অসাদু আওয়ামী লীগ নেতারা নিজের দলকে ভারী করার জন্য আওয়ামী লীগে স্থান দিয়েছে। আমি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও খাগড়াছড়ি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং ত্যাগী কর্মীর মূল্যায়ন করে নৌকার প্রতীক দেয়ার দাবি করছি।
কবাখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী আবদুল বারেক বলেন, আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মনোনীত করেছে তাই আমাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়েছেন।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো. কাশেম বলেন, যাদেরকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তারা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে। ষাট লক্ষ টাকার বিনিময় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তা ভিত্তিহীন বনোয়াট। কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়োজনেই জেলা আওয়ামী লীগের অনুমতি ক্রমে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির হাতে ফুল দিয়ে যোগদান করেছেন আব্দুল বারেক। আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন। কবাখালী ইউনিয়েনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দমতেই দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।