রাশিয়ার হয়ে লড়তে নাম লিখিয়েছে ৪০ হাজার সিরীয়!
পিবিসি নিউজঃ ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য রাশিয়া সিরিয়ান ভাড়াটে সৈন্য নিয়োগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) দাবি করেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে সিরিয়ার ৪০ হাজার মানুষের নাম তালিকাভুক্ত করেছে রাশিয়া। তবে এদের কেউই স্বেচ্ছাযোদ্ধা নয়। বরং অর্থ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে সিরীয়দের ভাড়া করা হচ্ছে।
এসওএইচআর সোমবার (১৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার যোদ্ধা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে নামতে নাম লিখিয়েছেন। দামেস্ক ও আলেপ্পোয় রুশ বাহিনী এবং সিরীয় সরকারের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনা ব্যবহার করে এ ধরনের যোদ্ধা সংগ্রহের কাজ চলছে।
ব্রিটিশ এনজিও’টির দাবি, সিরিয়ায় ৪০ হাজার ‘ভাড়াটে সৈন্য’ জোগাড় করলেও রাশিয়া এখন পর্যন্ত কাউকে ইউক্রেনে পাঠায়নি। তবে ইউক্রেনীয় সংস্থা ইউনিয়ান দাবি করেছে, প্রথম ধাপে এরই মধ্যে ৪০০ সিরীয় যোদ্ধাকে ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
সংস্থাটির দাবিমতে, এ ধরনের ভাড়াটে সৈন্যদের জন্য রাশিয়ার রোস্তভ এবং বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি থাকার জায়গা ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে রাশিয়া আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগ দিতে চাওয়া স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধাদের আনার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় পুতিন জানান, যারা ডনবাসে রুশপন্থীদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিতে চায় তাদের আসার সুযোগ দেওয়া উচিত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ১৬ হাজার যোদ্ধা রাশিয়ায় এসে যুদ্ধ করার জন্য তৈরি আছেন।
পুতিনের এমন ইঙ্গিতের পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, রাশিয়া যেসব স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের আনার কথা বলছে এর মধ্যে সিরিয়ান যোদ্ধারাও রয়েছেন। যারা শহরগুলোতে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শী।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের বরাতে গণমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়া সিরিয়া থেকে শহুরে যোদ্ধাদের নিয়ে আসবে। যারা রাজধানী কিয়েভ দখল করতে সহায়তা করবে এবং ইউক্রেনের সরকারের পতন ঘটাবে।