উত্তরায় রোগীকে আটকে রেখে নয় লাখ টাকা বিল!
পিবিসি নিউজঃ ‘আপনার রোগী আর এক ঘণ্টা বাঁচবে। দ্রুত প্রাইভেট হাসপাতালে না নিলে পথিমধ্যে রোগী মারা যাবে। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার আগেই মারা যাবে।’
এভাবেই রোগীর স্বজনদের আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভাররা। এরা মূলত শিনশিন জাপান হাসপাতালের দালাল হিসেবে নিয়োজিত। রোগী প্রতি কমিশনে কাজ করে থাকেন বলে জানান ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা।
এমন অভিযোগ রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত শিনশিন জাপান হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের পাশে অবস্থিত ব্যবসায়ীরা একই অভিযোগ করেন।
তারা জানান, এ অভিযোগ তাদের প্রতিদিনের।
রোগী মারা যাওয়ার পরেও তারা আইসিইউও তে রেখে লাখ লাখ টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিনশিন জাপান হাসপাতালে গত ১৩ এপ্রিল গাজিপুর জেলার কালীগঞ্জ থেকে এসে ভর্তি হয় আব্দুল লতিফ নামের এক রোগী। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত নিয়ে ভর্তি হন সেখানে। ঢাকা মেডিকেলে না গিয়ে শিনশিন জাপান হাসপাতালে কি করে এলেন তার বর্ণনা দেন রোগী আব্দুল লতিফের মা নাজমা বেগম।
তিনি জানান, গত ১৩এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়ার পরে গাজিপুর জেলার কালীগঞ্জ থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। টঙ্গি আসার পরে এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার বলেন রোগীর অবস্থা খারাপ এক ঘণ্টা বাঁচবে। দ্রুত প্রাইভেট হাসপাতালে নিতে হবে।
এরপর কৌশলে অল্প খরচে ভালো চিকিৎসার কথা বলে ভর্তি করানোর পরে চলে টাকার জন্য নানা চাপাচাপি।
আব্দুল লতিফের মা বলেন, “চিকিৎসা বাবদ এরমধ্যে চার লাখ টাকা পরিশোধ করেন তারা। যার প্রতিটি টাকা মানুষের থেকে সাহায্য তুলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান উত্তরা পশ্চিম থানার এস আই সামসুল, হাসপাতালটির জিএম শরিফ ও ওয়াকি টকি হাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভিকটিমের স্বজনদের সাথে টাকা আদায়ে খারাপ আচরণ করছে। সাংবাদিকদের কেনো জানানো হলো এই অপরাধে এস আই সামসুল ভিকটিমের স্বজনদের একজনকে আটক করে পুলিশের গাড়ীতে উঠানোর চেষ্টা করে। পরে সাংবাদিকদের জেরার মুখে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা ওয়াকিটকি হাতে পোষাক ছাড়া ওই ব্যক্তি প্রতিবেদককের উপর চড়াও হন।