গুম-হত্যার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়
পিবিসি নিউজঃ সিলেটে আ ফ ম কামাল হত্যার প্রতিবাদে লন্ডনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীকে হত্যা, গুম খুন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। বক্তারা বলেন, সারা দেশের মানুষ আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে নামতে শুরু করেছে। সেই আন্দোলনকে দমনের জন্য আ,ফ,ম কামাল কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আ ফ ম কামাল হত্যার প্রতিবাদে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর সোমবার বাদ জোহর পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা একথা বলেন।
সিলেট নগরীতে আওয়ামী দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল প্রাণ হারিয়েছেন। ৬ নভেম্বর রোজ রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে নগরীর আম্বরখানা বড় বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আ ফ ম কামাল সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক এবং সিলেট ল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ছিলেন। আ ফ ম কামাল এর বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার আলীনগর গ্রামে। ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্র থাকা অবস্থায় তার রাজনীতি শুরু হয়। বর্তমানে নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করতেন।
সংগঠনের সভাপতি মুসলিম খানের সভাপতিত্বে সহকারী সেক্রেটারী আরিফ আহমদ এর পরিচালনা এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক।
আশিকুর রহমান আশিক বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ ফ্যাসিবাদি সরকার বেপরোয়া হয়ে গেছে। এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। সেদিন বেশি দূরে নয় মানুষ তাদের নিকট থেকে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জবাব নিবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুসলিম খান বলেন, আ ফ ম কামালের সাথে গোবিন্দগঞ্জ কলেজে ১৯৯৭ সাল থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। ২০০১ সালের জামায়াতে ইসলামী সহ চার দলীয় জোটের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আমরা এক সাথে আন্দোলন করে পরাজিত করেছিলাম। এখন সেই আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সংগঠনের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হাসান আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী সুহেল আহমদ, অফিস সম্পাদক মোঃ মিফতা উদদীন, সহ সভাপতি আহমদ আলী, ইস্ট লন্ডন বিএনপির তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী ফয়সাল আহমদ,মানবাধিকার কর্মী মো: আব্দুল করিম,মাহবুবুর রহমান, জাহাংগীর আহমদ, তারেক আহমদ, আজিজ আহমদ চৌধুরী, আছাদ আহমদ, মুজাহিদুর রহমান, এম আশরাফ উদ্দিন, আছাব আলী, শাহ মাহমুদুল হাবিব ইমন, বুরহান উদ্দিন আল মামুন, মো: রহিম এহসান নাইম, মাহবুবুর রহমান, আলিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, এম এ শামিম, শাহ জামাল, দিলাল আহমদ, মঈনুল ইসলাম, মো: আলাউদ্দিন মো জাকির আহমদ, আনছার আলী, আব্দুল কাদির জিলানী, মামুন মিয়া, মো আমিনুল হক, সুহেল আহমদ, সেলিম আহমদ, আবুল হুসেন নিজাম, হুমায়ুন রশীদ, সামাদুর রহমান অপু, মোহাম্মদ নুর মিয়া, জামাল মিয়া প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আসাদ আহমদ।