উন্নয়ন বাজেটের খরচে বিদেশে যেতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তারা
পিবিসি নিউজঃ উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণা এমন এক সময়ে দেওয়া হয়েছে, আওয়ামী লুটপাটে রাষ্ট্রীয় তহবিল যখন ফতুর হয়ে গেছে। রিজার্ভে টান পড়ায় যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে গচ্ছিত স্বর্ণ নিলামের বিক্রির প্রয়োজন হয়েছে। লুটপাটে দেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পর এখন কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হচ্ছে সরকার অর্থনৈতিকভাবে কতটা নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) অর্থ বিভাগের জারি করা এক আদেশে সরকারের সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছে উন্নয়ন বাজেট থেকে টাকা খরচ করে সরকারি কর্মকর্তারা আর বিদেশ সফর করতে পারবেন না। তবে ব্যক্তিগত কাজে নিজ খরচে যেতে চাইলে সরকারি কর্মকর্তারা যেতে পারবেন।
আদেশে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন করপোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নেও সব প্রকার বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
অবশ্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে আদেশে। এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে দেওয়া বৃত্তি বা ফেলোশিপের আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে পড়াশোনার জন্য অনুমোদন নিয়ে বিদেশ যাওয়া যাবে।
এ ছাড়া বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিশেষায়িত বা পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশে যাওয়া যাবে।
গত এপ্রিল-মে মাসে দেশে ডলার সংকট দেখা দিলে মে মাসে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করার বিষয়ে একাধিক আদেশ জারি করেছিল সরকার।