
ফখরুল-আব্বাসকে সাধারণ কয়েদিদের সাথে রেখেছে : আফরোজা আব্বাস

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সাধারণ কয়েদিদের সাথে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা দলের সভাপতি ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দিলো না। জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিলো। কাল তাদের সাধারণ কয়েদিদের সাথে ওয়ার্ডে রেখেছে। ফ্লোরিং করিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ তিনি এ অভিযোগ করেন।
আফরোজা আব্বাস বলেন, নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে আমরা সমাবেশ করতে পারি না। অথচ আওয়াম লীগ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। ওয়ার্কিং ডে’তে সমাবেশ করে। পোশাক কারখানা বন্ধ করে সমাবেশ করে, স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বেশি লোক দেখানোর জন্য নারী-পুরুষদের জোর করে সমাবেশে আনে। অথচ আমাদের ভাই বোনেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে যোগ দিতে চাইলে তারা বাধা দেয়। তারা চেয়েছিল বিএনপি যেন ঢাকায় সমাবেশ করতে না পারে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বিএনপি কখনো পরাজিত হয় না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ঘরে ঘরে হামলা করছে। আপনারা দেখেছেন বিস্ফোরক আইনে ৪৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ওবায়দুল কাদের কক্সবাজার বসে বললেন ‘পল্টন কার্যলয়ে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে।’ তখন পর্যন্ত আপনারা জানেন না, আমরাও জানি না, সাংবাদিক ভাইয়েরাও জানে না। তাহলে তিনি জানলেন কীভাবে। কারণ এই বিস্ফোরক পুলিশের মাধ্যমে তিনি পাঠিয়েছিলেন। সুতরাং সাবধান, এই অন্যায় আর করবেন না।
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে ২০০-২৫০ পুলিশের পাহারায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন স্লোগান দেয় ‘মির্জা আব্বাসের চামড়া তুলে নেবো আমরা।’ সাহস থাকলে পুলিশ ছাড়া আস। সাবধান, স্লোগান দেয়ার আগে ভাবতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সঞ্চালনায় রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু।