ফখরুল-আব্বাসের জামিন ঠেকাতে আপিলে যাচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে মঙ্গলবার ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। অপরদিকে ফখরুল-আব্বাসের এই জামিন ঠেকাতে আপিলে যাচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ফখরুল-আব্বাসের জামিন দেন।তবে হাইকোর্টের এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আ
(বুধবার) আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির।এর আগে বিচারিক আদালতে দুই বিএনপি নেতার আবেদন চার দফা নাকচ হয়।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামান, গত ১৫ ডিসম্বের মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন, ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন এবং ৯ ডিসেম্বর জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। এরপর উচ্চ আদালতে যান বিএনপির দুই নেতা।
গতকাল (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্ট দুই নেতাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। কিন্তু তাদের মুক্তি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।কারণ তাদের জামিন ঠেকাতে আপিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পর দিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে কারাবন্দি ফখরুল-আব্বাস।এর আগে ৭ ডিসেম্বর বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে।
এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।এ ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তবে এ মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।