বিএনপির পদত্যাগকে বিতর্কিত করতে সরকার চাপ দিয়ে সাত্তারকে নির্বাচনে নামিয়েছে : রুমিন ফারহানা
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করার জন্যই সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার যেকোনোভাবে আমাদের পদত্যাগকে বিতর্কিত করতে চায়। সরকার সেটা সফলভাবে করেছে। তাকে চাপ দিয়ে এই নির্বাচনে আনা হয়েছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউটে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের বাসভবনে আয়োজিত এক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা অঞ্চলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সায়েদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ও রফিক শিকদার, সালাউদ্দিন শিশির।
এ সময় জেলা বিএনপির অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।সভায় বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি জুডিসিয়াল কমিশন গঠন করবে। কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে যে ঘটনাটি হয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক, তিনি বারের সভাপতি। তিনি অকথ্য ভাষায় একজন বিচারককে গালাগাল করেছেন, তা কোনো অবস্থাতেই চলতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপি আগামীতে জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি পায়, বিএনপি কী ধরনের রাষ্ট্র দেখতে চায় তা ২৭ দফার মধ্যে দেয়া হয়েছে। এর আগে আমরা ১০ দফা দিয়েছি, সেই ১০ দফায় আমাদের সম্প্রতি যে কর্মসূচি তা বলেছি। আর ২৭ দফার শুরুতেই বলেছি, সংবিধান সংস্কার কমিশন করবো। কারণ আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে তাদের দলীয় বইয়ে পরিণত করেছে। সংবিধানের কিছু ধারা তারা এমনভাবে তৈরি করেছে, বলা হচ্ছে সেই ধারাগুলো ভবিষ্যতে পরিবর্তন করা যাবে না।
রুমিন ফারহানা আরো বলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এ ধরনের কোনো ধারা সংবিধানে যুক্ত করা সম্পূর্ণ বেআইনি। ভবিষ্যতে সংসদে কী আইন পাস হবে, সেই সংবিধান তারা কিভাবে রাখবে, সেই এখতিয়ার সংসদের আছে। আজকের সংসদ কোনোভাবেই সেই সংসদের হাত বেঁধে ফেলতে পারে না। কোনো অবস্থাতেই তারা ঠিক করে দিতে পারে না, ভবিষ্যতে একটি সংসদ কিভাবে সংবিধানকে সংশোধন করবে।