বিদ্যুতে লুটপাটের দায় এখন সাধারণ মানুষের ঘাড়ে
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ কুইক রেন্টালের নামে রাষ্ট্রীয় তহবিলের হাজারো কোটি টাকা লুটপাটের দায় এখন বহন করতে হচ্ছে দেশের খেটে খাওয়া গরীব মানুষকে। ঘাটতি মিটাতে নির্বাহী আদেশে সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। গ্রাহককে এ মাস থেকে আগের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি বিদ্যুতের দাম গুণতে হবে।শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই নিয়ে ১১তম বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হল।
১৪ বছরের দু:শাসনে আরো ১০ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। অথচ, বিদ্যুৎ খাতে অগ্রিম ইনডেমনিটি দিয়ে লুটপাট করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনার অনুগত ব্যবসায়ীদের।ইতোমধ্যেই খবর বের হয়েছে শেখ পরিবারের ঘনিষ্ট সামিট গ্রুপ একাই ১৪ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেই।
শুধু ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এই টাকা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে। শেখ পরিবারের ঘনিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও হাজারো কোটি টাকা লুটে নিয়েছে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে।
এখন এই টাকার দায় শোধ করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে বিদ্যুতের বাড়তি মূল্য দিয়ে।বিদ্যুতের দাম বাড়াতে শেখ হাসিনার পছন্দের লোকদের দিয়ে গঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিকেও পাত্তা দেওয়া হয়নি। এই গণশুনানিকে পাশ কাটিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে নতুন করে আবারো সবকিছুতে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতে পড়বে মধ্যবিত্তরা।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্পকারখানায় উৎপাদন খরচ এবং মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এতে নিম্নআয়ের মানুষ আরও দুর্ভোগে পড়বে বলেও জানান তারা।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় ২০২৩ সালের মূল্যস্ফীতিকে উস্কে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, সিস্টেম লস, অনিয়ম বন্ধে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার।
অন্যদিকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের কষ্ট বাড়ছে।মূল্য বৃদ্ধির গেজেটে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন-২০০৩’ এর ধারা ৩৪ক-তে দেয়া ক্ষমতাবলে সরকার ভর্তুকি সমন্বয়ে জনস্বার্থে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের সরবরাহ করা বিদ্যুতের খুচরা মূল্যহার এবং বিদ্যুৎ সম্পর্কিত বিবিধ সেবার জন্য চার্জ/ফি পুনর্র্নিধারণ করলো।