হাফেজ-আলেম হত্যাকারী শেখ হাসিনা ইসলামের খেদমতের বয়ান দিচ্ছেন
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্য-পুস্তকে ভারতীয় সংস্কৃতির আধিপত্য বিস্তার ঘটিয়ে শেখ হাসিনা এখন দেশের মানুষকে ইসলামের খেদমতের বয়ান শোনাচ্ছেন।
মডেল মসজিদ নির্মাণ করে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভারতীয় সংস্কৃতি দিয়ে সাজানো সাজানো হচ্ছে।
কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের সংস্কৃতি শিখিয়ে শেখ হাসিনা বলছেন, তাঁর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ অনুসরণ করে ইসলামের খেদমত করছেন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন-কালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
অথচ এই শেখ হাসিনার নির্দেশেই ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের আগে লগি-বৈঠা নিয়ে রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়ে মানুষ হত্যার হুকুম এই শেখ হাসিনাই দিয়েছিলেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামে তার নির্দেশেই পুলিশ গুলি চালিয়ে কোরআনে হাফেজসহ ১৬ জন মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করেছে। আর এখন তাঁর মুখেই ইসলামের খেদমতের কথা শুনছেন মানুষ।ধর্ম নিয়ে কেউ যেন আর কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ব্যাপারে আলেম-উলামাদের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসের বিধান বাতিলকারী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই সরকার প্রতি উপজেলায় মডেল মসজিদ করছে।
মডেল মসজিদের উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করছি, ইসলাম ধর্ম যাতে আরও উন্নতভাবে পালন করতে পারে। ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা যাতে পায়। ইসলামের মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার যাতে ঘটে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই সত্যিকারের ইসলামের চর্চা হোক। প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এই মডেল মসজিদ করা হয়েছে। আমাদের সমাজে আলেম-উলামাকে সবাই শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখে। এজন্য সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দূরীকরণে তাদের ভূমিকা জরুরি। তাদের বয়ানে মানবিক গুণগুলোর কথা যেন উঠে আসে।’