আ’লীগ বলে একটা, করে আরেকটা : মির্জা ফখরুল
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা। আওয়ামী লীগ এ দেশের সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটা করেছে। এ দেশের যে চরিত্র বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সেটা তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।
রোববার দুপুরে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির সাথে বৈঠক করে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, আমরা বৈঠকে বর্তমান দেশের রাজনীতির যে অবস্থা সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ভবিষ্যতে কী কর্মসূচি হওয়া উচিত আর কী ধরনের কর্মসূচি নেয়া যেতে পারে এবং কিভাবে জনগণকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করা যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা একমত হয়েছি এই ফ্যাসিস্ট, অনির্বাচিত সরকার পতনের লক্ষ্যে যে যুগপৎ আন্দোলন করছি। সামনের দিকে আরো জনগণকে বেশি সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে বেগবান করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমাদের লাখ লাখ নেতা-কর্মীরা মামলার আসামি- তা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবিতে একমত হয়েছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য উপযোগী। যেদিন এই ব্যবস্থা বাতিল করা হলো সেদিন থেকেই দেশে অস্থিতিশীলতা, অনিশ্চয়তা ও সহিংসিতার দ্বার মুক্ত করা হয়েছিল। যার প্রমাণ ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন।
তিনি আরো বলেন, এদেশে মানুষ জানে না কিভাবে নির্বাচন হয়। তারা জানে না তাদের ভোট দিতে পারবে কি পারবে না। আওয়ামী লীগ অতীতে যে কাজগুলো করেছে। তাতে দেশে জনগণ নিশ্চিত এদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হয় না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এমন কাজই করছে। তারা আমাদের সমাবেশের আগে তিন দিন আগে থেকেই স্ট্রাইক করে। পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত তারা চেক করতে থাকে। গত ঢাকা বিভাগের সমাবেশ এর আগে পুলিশ দিয়ে তারা ১৫ দিন আগে থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল। বিরোধীদলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না, বাধা দেবে। ভিন্ন মত সহ্য করবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তাদের কথা বলতেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।