‘জনগণের টাকা লুটতে বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়ানো হচ্ছে’
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ জনগণের কাছ থেকে টাকা লুট করতেই সরকার বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে হলে তা কমিশনের মাধ্যমে যায়, গণশুনানি লাগে। এ গণশুনানিকে উপেক্ষা করে সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছিল। আবার একইভাবে তারা আরও ৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। মাসে মাসে নাকি বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে। অর্থাৎ আজকে সরকারের হাতে টাকা নেই। এ দেশের সাধারণ মানুষ থেকে লুট করে টাকা নেওয়ার জন্য বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে, পানির দাম বৃদ্ধি করছে। অথচ সরকার জনগণকে বিদ্যুৎ দিতে পারে না, গ্যাস দিতে পারে না, পানি দিতে পারে না। এ দেশের মানুষের অবস্থা আজকে অত্যন্ত দুর্বিষহ।মঙ্গলবার দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালের কাছে ‘নীরব পদযাত্রা’র তৃতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মোশাররফ এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ মঙ্গলবার সকালে এক প্রজ্ঞাপনে পাইকারিতে গড়ে ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং খুচরায় ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য বিদ্যুতের নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করেছে।
টাকার অভাবে পণ্য খালাস হচ্ছে না উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতিও একই কারণ। তারা আজকে পণ্য আমদানি করতে পারছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্টিমার এসে বসে আছে। টাকা দিতে পারে না বলে মাল খালাস করতে পারে না। আবার বড় বড় কথা বলে। কারা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবমূল্য বৃদ্ধি করছে? আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা, যারা বিদেশে টাকা পাচার করে। আজকে এ দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা সৃষ্টি করেছে, অর্থনীতি ধবংস করে দিয়েছে।
দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবনমনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত লেখালেখি হচ্ছে, বিদেশিরা চাপ দিচ্ছেন, তারপরও গত কয়েক মাসে দেখেন কী পরিমাণ দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা পৃথিবীর বুকে দুর্নীতির পরিলেখকে আমরা সর্বনিম্ন ১৩ নম্বরে ছিলাম। সেটা আরও একধাপ কমে দেখা গেল ১২-তে নিচে নেমে এসেছে।
অর্থাৎ আন্তর্জাতিক হিসাবেও দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতি দমন তো দূরের কথা, দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুর্নীতি করে আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট, অতএব তাদের দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। সেজন্য দেশের মানুষ এই সরকারের পদত্যাগ চায়, যত দ্রুত বিদায় করতে চায়।
বিএনপির পদযাত্রা সরকারের বিদায়ের অগ্রিম শোভাযাত্রা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের এত নির্যাতনের পরও বিএনপি ঘরে বসে যায়নি, এ দেশের জনগণও বসে যায়নি। বরং সরকারকে বিদায় করার জন্য রাস্তায় নেমেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, রাস্তায় আছি। আওয়ামী লীগ ভয়ে ভীত হয়ে বিএনপির পথযাত্রাকে নানা নামে সমালোচনা করছে।