দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশ
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ দুর্নীতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরই রয়েছে বাংলাদেশের নাম। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ-এর তালিকায় বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় আরো একধাপ অধপতনে গেছে।
আওয়ামীপন্থি টিআইবি’র রিপোর্টেই এই তথ্য উঠে এসেছে। এতেই অনুমান করা যায়, বাংলাদেশে দুর্নীত, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের চিত্র কতটা ভয়াবহ। ট্রন্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের গত বছরের রিপোর্টে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় ১৩ নম্বরে ছিল বাংলাদেশের অবস্থান। এবার আরো খারাপ হয়ে নিচের দিক থেকে ১২ নম্বরে উঠে এসেছে।
অর্থাৎ দুর্নীতিতে বাংলাদেশ আরো একধাপ অধপতনে গেছে।বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রকাশ করা ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)’ গবেষণায় প্রকাশিত এ তথ্য জানিয়েছে আওয়ামীপন্থি টিআইবি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলন থেকে বিষয়টি জানানো হয়।গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান ও স্কোর যথারীতি বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের স্কোর ১ পয়েন্ট কমে ২৬ থেকে ২৫ হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে এক ধাপ অবনমন হয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এবছর সূচকে নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ এবং ওপরের দিক থেকে ১৪৭। এবার বাংলাদেশ ১০০ স্কোরের মধ্যে ২৫ অর্জন করেছে। এবার আফগানিস্তানের স্কোর ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের স্কোর ঘুরেফিরে ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে রয়েছে।
এর আগে দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২১ অনুসারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬। ওই বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের এক ধাপ এগিয়ে ১২তম অবস্থানে উঠে এসেছে। এর আগের বছর ১৩তম অবস্থানে ছিল।আর তালিকায় উপরের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৭তম।১৯৯৫ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশ-এর সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে আওয়ামীরা। ব্যাংক গুলো ফতুর করেছে আওয়ামী ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী ব্যবসায়ীরা বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে দেশের টাকা লুটাপাট করে। দেশের সাধারণ মানুষ বৃটিশ শাসনের সময় থেকে যেভাবে শোষণের শিকার ছিল, এখনো একইভাবে শোষণের শিকার হচ্ছেন আওয়ামীদের দ্বারা।