যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ব্যক্তিত্ববান রাজনৈতিক নেতারা দলীয় কাজ করেননা বলে সহজেই অভিযুক্ত হন!
মতিউর রহমান লিটু: আওয়ামীলীগ বলেন আর বিএনপি, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী যারা বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে জড়িত তারা সকলেই জানেন – যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে আসা অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা/নেত্রীরা একটা ভাঙ্গা স্যুটকেস নিয়ে জেএফকে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরন করেন। নিজেদের কাজ ফেলে, গাড়ীর তেল পুড়ে, সময় নষ্ট করে তাদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে যান, মূলত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা তাদেরকে ভালোবেসে এসব করে থাকেন। বেড়াতে আসা এসকল নেতাদের ভালো ভালো গিফট কিনে দেন।
যেই ব্যক্তি একটা মাত্র ভাঙা স্যুটকেস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে আসেন সেই নেতা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সময় ৭/৮ টি লাগেজ নিয়ে এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষকে ওভার চার্জ পে করে বীরদর্পে বাংলাদেশে ফিরে যান। এয়ারপোর্টে বিদায়ের প্রাক্কালে জনাব কেন্দ্রীয় নেতা সাহেব যারা তাকে সময় দিয়েছেন বা পয়সা দিয়েছেন তাদেরকে নতুন কমিটি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে রাজনীতিতে আরেকটি গ্রূপ উপগ্রূপের তৈরী করে যান!
যারা আসল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাজনীতির মাঠ কাঁপানো নেতা বা কর্মী তাঁরা হয়তোবা সদ্য আগত কেন্দ্রীয় নেতার যুক্তরাষ্ট্র সফরে তেমন সময় বা পয়সা খরচ করতে পারেননি। এবারে বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ঐ দলের শীর্ষ নেতাকে সদ্য বিদায়ী নেতা জানান যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান কমিটি (সেটা আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি আমি সকলের কথা বলছি) কোন কাজেরই না। তিনি আবার নতুনভাবে কয়েকটি নাম দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। সেই খবরটি আবার কোন গ্রূপের মিটিংয়ে টেলি কনফারেন্স করে জানিয়ে দেন এতে করে মাশাল্লাহ নতুন কয়েকটি নেতার উদ্ভব হয়। নতুন গ্রূপিংয়ের তৈরী হয়, চলতে থাকে নতুন নোংরামি!
কিছুদিন পরে আবার কোন এক কেন্দ্রীয় নেতার আবির্ভাব হয়, শুরু হয় নতুন খেলা! এভাবেই চলছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আওয়ামীলীগ আর বিএনপির রাজনীতি!
যেসকল প্রবাসী নেতারা মূলত ব্যক্তিত্ব নিয়ে রাজনীতি করেন তারা কিন্তু তাদের কর্ম দক্ষতা দিয়ে মূলধারায় বাংলাদেশের কিংবা দলের পক্ষে কাজ করে থাকেন কিন্তু ঐ যে ভিজিট ভিসায় আসা কেন্দ্রীয় নেতার চামচামি করেননি তাই দলের শীর্ষ নেতার কাছে তার রিপোর্ট যায় “অমুখ নেতা” সে তো দলের জন্য কোন কাজই করেন না। অচিরেই পরিবর্তন করতে হবে!