আওয়ামী লীগের সূর্য অস্ত যাওয়ার বেশি দেরি নেই: আলাল
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সূর্য অস্ত যাওয়ার বেশি দেরি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেছেন, বেশি দেরি নেই, আওয়ামী লীগের সূর্য অস্ত যাওয়ার পথে। আওয়ামী লীগের সেই সূর্য অস্তে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দেশের জনগণ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফুসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের সূর্য অস্ত যাওয়ার পথে। খুব দেরি নেই। সকালে সূর্য লাল দেখা তখন উদয় হয়। আবার যখন বিকেলে অস্ত যায় তখনও লাল হয়। সুতরাং আওয়ামী লীগ নামক লাল সূর্য দেখলেই কেউ মনে করবেন না উদয় হচ্ছে। তাদের সূর্য অস্ত যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সেই সূর্য অস্তে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে সারা দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, এই সরকারের কোনো জনসমর্থন নাই। পুলিশের একটা অংশকে ব্যবহার করে তারা সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়। এটা কোনোদিনই হবে না। যদি হতো তাহলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তো না। সুতরাং বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দিকে তাকিয়ে যারা ভাড়া খাটছেন তারা থামেন।
আলাল বলেন, বাংলাদেশেও যে অর্থ সংকট এই অর্থ সংকট নিরসনে যে সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারতেন সেই ডক্টর ইউনূসকে আওয়ামী লীগ পারলে ফুটবলের মতো খেলে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অত্যাচার এমন একটা মাত্রায় পৌঁছেছে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের এই বদ বুদ্ধির সঙ্গে আপনারা পেরে উঠছেন না কেন। পারি না এই কারণে যে, ওরা ওদের কর্মকাণ্ড শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে যেটা মানব সভ্যতার রুটিনের সঙ্গে কোনোভাবে মেলে না। আওয়ামী লীগ যে রকম ঠিক সেভাবেই তাদের পতন করতে হবে। তাছাড়া অন্য কোনো পথ আছে আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্দিহান।
জাতীয়তাবাদী নবীন দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।