আওয়ামী লীগ কারো নির্দেশনা শোনে না, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কারও নির্দেশনা শোনে না, সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী চলে। নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের সংবিধান অনুসরণ করবো।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এতে নির্বাচন ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় বলে অভিমত দিয়েছেন। তাঁর ভাষায় তাদেরকে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগও চায় একটি ভালো, ত্রুটিমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে সে নির্বাচনটা কি ২০১৮ সালের মত অংশগ্রহণমুলক হবে সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি।
ওবায়দুল কাদেরের বয়ান অনুযায়ী, তাদেও নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আর আমাদের বক্তব্য ভিন্ন কিছু নেই। উনি যা বলেছেন তাঁর প্রতিধ্বনি করেছি। কারণ আমাদের দল একই ধারণা নিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরাতো কারও নির্দেশনা শুনব না। আমাদের নির্দেশনা হলো দেশের সংবিধান।বিএনপিও গত কয়েকমাস ধরে এইভাবে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে গিয়ে বৈঠক করে জানিয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
এ বিষয়টি কি আলোচনায় উঠেছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তারা মাঝে মাঝেই আসে। আমরা দেখতে পাই, শুনতে পাই। তারাতো চুপি চুপি আসে। গোপনে গোপনে আসে। জানান না দিয়ে আসে। আমরা কিন্তু কথা বলেই এসেছি, আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আমরা এসেছি। সাংবাদিকদের কাছেও বিষয়টি গোপন রাখিনি।
আপনাদের বক্তব্যে ইইউ সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমাদের সঙ্গে ফ্রুটফুল, মিনিংফুল ও প্রোডাক্টিভ আলোচনা করেছি। তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে কিনা সেটা তাদের থেকে জানা দরকার। তারা সবার অংশগ্রহণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। সেখানে নিবন্ধিত সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।