সংলাপ নয়, সরকারের পদত্যাগ চায় বিএনপি
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি কোনো সংলাপে যাবে না উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা কোনো সংলাপ চাইনি, চেয়েছি সরকারের পদত্যাগ। অনেক চুরি করেছেন, অনেক ডাকাতি করেছেন। সুতরাং এখন চলে যান। বিদায় হন, এ দেশের জনগণকে বাঁচান।
সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
মির্জা আব্বাস বলেন, এ দানবীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। আর যারা নির্বাচনে যেতে চান বা যাবেন তাদের কারও পা আস্ত থাকবে না।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক আচরণ শিখুন। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন। মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আমাদের নেত্রী তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু কখনই আজকের প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলেননি। আমাদের যুদ্ধ এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, যুদ্ধ পুলিশের সঙ্গে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশের উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে কোনো আপত্তি নেই। পুলিশের উন্নয়ন হবে পুলিশের সন্তানরা ভালো থাকবে, ভালো খাবে, আমাদের কোনো আপত্তি নেই; কিন্তু ওই জায়গায় যদি পুলিশকে ঘুস দেওয়া হয়, আওয়ামী লীগের কর্মচারীর মতো ব্যবহার করা হয়, তাহলে আমাদের আপত্তি। পুলিশকে পুলিশের আচরণ করতে হবে। জনগণ ট্যাক্স দেয়, পুলিশ গণতন্ত্র প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, আওয়ামী লীগের কর্মচারী নয়।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়- আওয়ামী লীগের এক নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কখনই ভয় পায়নি। এ যাবৎকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় গিয়েছে, কিন্তু কখনো ভোট চুরি করে যায়নি।
মির্জা আব্বাস বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো আপনাদের দাবি, বিএনপির দাবি নয়, কখনই ছিল না। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন। বলতে চাই আওয়ামী লীগই নির্বাচনে ভয় পায়। নির্বাচনে ভয় পান এটাও সঠিক নয়, তারা দেশের জনগণকে ভয় পান। কারণ যে লুটপাট চুরি করেছেন তার বিচার তো একদিন হবেই।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু, কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সাইদ ইকবাল টিটু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান পলাশ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াসউদ্দিন মামুন প্রমুখ।