মাথা নত করার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি : গয়েশ্বর
পিবিসি নিউজঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কারো কাছে মাথা নত করতে খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি। খালেদা জিয়া জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করতে জানেন না।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডা: মিলন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরো বক্তব্য রাখেন, হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা বলেন, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে। কার কাছে? ক্ষমা চাওয়ার লোকটা কে? বর্তমানে জীবিতদের মধ্যে এ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে খালেদা জিয়ার চেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার কে করেছেন? রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলুন। খালেদা জিয়া ক্ষমা চাইবে কার কাছে? যারা নিজেরা অপরাধি, যারা বৈধ নয় এবং আইনসিদ্ধ নয় তাদের কাছে?’
তিনি বলেন, ‘তারা কেন আইনের কথা বলেন? আইনমন্ত্রী কি জানেন না রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা হলে সর্বোচ্চ আদালত থেকে চূড়ান্ত রায় হতে হয়? আইনমন্ত্রী কি জানেন না পেন্ডিং মামলায় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া যায় না? খালেদা জিয়া লড়তে জানেন, ভাঙতে পারেন কিন্তু দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করতে জানেন না। মাথা নত করার জন্য খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি।’
গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘এখানে আজকে অনেক কথা হলো, বাকি আছে কিছু করার। এখানে যারা আছেন তাদের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা, আপনারা গণতন্ত্র মুক্ত করবেন। গণতন্ত্র মুক্ত করা মানে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি খালেদা জিয়ার হাতে গণতন্ত্র তুলে দিতে পারি তাহলে তিনিই সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।’
স্মরণ করিয়ে দিয়ে উপস্থিত সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অতীতের আন্দোলন আর এখনকার আন্দোলন এক রকম হবে না, কারণ প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আধুনিক প্রযুক্তির রোষানলে আন্দোলন সংগ্রাম দৃশ্যমান হতে পারে না। প্রযুক্তি যেমন কারো জন্য আশীর্বাদ, কারো জন্য অভিশাপও। ছাত্রদের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। নির্ধারিত কোনো ছাত্র সংগঠন আগে তারা যেটা পারত, বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হয় বর্তমান ছাত্ররাই পারবে। ছাত্ররা তাদের নিজেদের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে। বাসের চাকায় একজন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। হয়তো তাদের সংগঠিত নেতা না থাকলেও চেতনায় তারা ঐক্যবদ্ধ। এ কারণে তারা পারছে। সুতরাং নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা আজব দেশে বাস করছি। যেখানে চিকিৎসার দাবিতেও আন্দোলন করতে হয়। সবাইকে আহ্বান জানাব, এ আন্দোলনই যেন সরকার পতন আন্দোলন হয়।’
খালেদা জিয়া আজ জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উল্লেখ করে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘নেতৃবৃন্দকে বলব, আপনারা কর্মসূচি দিন, আমরা তা সফল করব।’