একজন পারভেজ সাজ্জাদ ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি
পিবিসি নিউজ: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সর্বোচ্চ জনসমর্থন নিয়ে বাংলার মাটিতে টিকে থাকা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গঠিত এই দল দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বেশ তৎপর রয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের রোষানলে কিছুটা স্তমিত হলেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠিত, এই দলের ত্যাগী নেতাকর্মীও আগের চেয়ে অনেক বেশি পরীক্ষিত।
আজ এমন একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতার কথা বলবো যিনি কথায় নয় বরং ত্যাগে ও কাজে প্রবাসী নেতা কর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, চট্রলার কৃতি সন্তান, সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা পারভেজ সাজ্জাদ।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেছেন প্রায় একযুগের বেশি সময় ধরে। ব্যবসায়িক সফল পারভেজ সাজ্জাদ দলকানা একজন উদার ব্যক্তিত্ব। দলীয় কাজে অনুদান দিতে কোনদিন তাকে দ্বিতীয় প্রশ্ন করতে শুনিনি বা দেখিনি, যেখানে যা দরকার দলের জন্য উদার মনে খরচ করেছেন। একজন সরল মনের জিয়া পাগল ব্যক্তিত্ব!
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে অনেকেই ব্যবসায়িক সফল ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া দলের জন্য উদার নেতার সংখ্যা খুব একটা উল্লেখযোগ্য নয়। পারভেজ সাজ্জাদ আর কিছু হোক বা না হোক দলের একজন উদার ও ত্যাগী নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। বাস্তবতার নিরিখে এটাই বলবো পারভেজ সাজ্জাদের সফলতা।
বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা নয় বরং পারভেজ সাজ্জাদ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির একজন অপ্রতিদ্বন্দী ত্যাগী নেতা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পারভেজ সাজ্জাদের জিয়া পাগল মানুষিকতাই তাকে বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে।
বিগত দিনের যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কিছু অবদানের কথা না বললেই নয়; ১/১১ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির আগুন ঝরা নেতৃত্ব মূলত মঈন-ফকরুদ্দিন গংদের ক্ষমতা দীর্ঘায়ীত হতে দেয়নি। বহির্বিশ্ব বিএনপি নামে আব্দুল লতিফ সম্রাটের নেতৃত্বে বিদেশের মাটিতে প্রায় সকল দেশের বিএনপি পন্থী নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিক্ষোভ করেছিলেন।
দুর্ভাগ্যক্রমে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হলে দলীয় কার্যক্রম কিছুটা স্তিমিত হয়ে পরে। ‘দল’ কয়েকটি গ্ৰুপ উপগ্ৰুপে বিভক্ত হয়ে পরে। অবশ্য বাস্তববাদী প্রত্যক্ষদর্শীরা দলের এই বিভক্তির জন্য জাতীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র নেতারাই দায়ী বলে মন্তব্য করেন। একেকজন কেন্দ্রীয় নেতা একেক সময় যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের নতুন কমিটি উপহার দেয়ার নাম করে কলা ঝুলিয়ে রাখতেন- এতে করে বিভিন্ন সময়ে নেতা আসে নেতা যায় ফর্মুলার কিছু পাতিনেতাদের জন্ম হয়েছিল। টোকাই মার্কা কিছু আগাছা মাস্তানরা দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে অশোভন আচরণ করায় সম্মানিত নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যক্রমে তেমন একটা অংশ নিতেননা। এমনকি লন্ডন থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান সাহেবের নেতৃত্বে ব্যারিস্টার সায়েম যখন কমিটি গঠন করতে নিউইয়র্কে এসেছিলেন তখন তাদের অবস্থান করা হোটেলের সামনে কিছু টোকাই মাস্তানরা অবস্থান নেয়ায় ভদ্র নেতাকর্মীরা সেখানে মাহিদুর রহমান সাহেবদের সাথে আর সহযোগিতা করেন নাই। কমিটি গঠন পিছিয়ে যায়- আজ পর্যন্ত কমিটি গঠন করা সম্ভব হয় নাই। এভাবেই আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে পরে যুক্ররাষ্ট্র বিএনপি।
রাজনৈতিক ব্যর্থতা নয় বরং কিছু টোকাই মাস্তানদের অসদাচরণ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি স্থবিরতার অন্যতম কারণ।