জানুয়ারির পর বাংলাদেশ করোনার টিকা পাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
আগামী একমাসের মধ্যে বাংলাদেশ করোনার টিকা পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে মহাখালীতে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, সেরাম চাহিদা পূরণ করতে না পারলে প্রয়োজনে বিকল্প খুঁজবে বাংলাদেশ।
দেশের চাহিদা মেটাতে অন্য ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।
করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই বিষয়টি বুঝে গেছে গোটা বিশ্ব। তাই ভ্যাকসিনের দিকেই ছুটছে সবাই। সেই কাতারে অনেক আগেই শামিল হয়েছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন নিতে চুক্তি করেছে বেক্সিমকো ও বাংলাদেশ সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় ভ্যাকসিন কিনতে এবার চুক্তি করলো সরকার ও বেক্সিমকো। দ্রুত তা পাঠানো হবে সেরাম ইন্সটিটিউটে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব কিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পাবে বাংলাদেশ। এরপর প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ৬ মাসে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসবে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, অক্সফোর্ড ছাড়াও রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রেও ভ্যাকসিনের বিষয়ে যোগাযোগ হচ্ছে। অক্সফোর্ডের করোনা টিকা ৩ কোটির বেশি দিতে না পারলে অন্য দেশ থেকে ভ্যাকসিন আনা হবে।
এছাড়া করোনা মোকাবিলায় দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানায় বেক্সিমকো। এ প্রসঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এতো ভ্যাকসিন, কিন্তু কেউই কোনো অফার দিচ্ছে না সরকারকে। আরও দুই একটা প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত।
এদিকে আশার কথা শোনালেও দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নীতিগত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে কাগজ জমা দিতে পারেনি দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক।