ভারত মহাসাগরে চীনের আন্ডারওয়াটার ড্রোন
ভারত মহাসাগরে গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর জন্য বিপুল সংখ্যক আন্ডারওয়াটার ড্রোন পাঠিয়েছে চীন। ড্রোনগুলোর নাম সি উইং গ্লাইডার। চীনা ভাষায় তাদের নাম হাইয়ি। ডিফেন্স অ্যানালিস্ট হাই সুট্টন সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনে লিখেছেন, চীন ভারত মহাসাগরে যে ড্রোনগুলো পাঠিয়েছে, সেগুলোকে বলে আনক্রুড আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল। অর্থাৎ ওই ড্রোনগুলোতে কোনও মানুষ নেই।
ভারতীয় মিডিয়া বলছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ড্রোনগুলো পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেগুলো ৩৪০০ বার গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছিল। হাই সুট্টন লিখেছেন, একসময় মার্কিন নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে ওই ধরনের ড্রোন পাঠিয়েছিল। ২০১৬ সালে চীন আমেরিকার একটি ড্রোনকে ধ্বংস করে দেয়।
তাদের বক্তব্য ছিল, ড্রোনগুলো জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। কিন্তু তারপরে চীন নিজেই ওই ধরনের ড্রোন পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ মেরুতেও ড্রোন পাঠিয়েছে চীন। ফোর্বস ম্যাগাজিনে জানানো হয়েছে, চীনের সামরিক নথিপত্রে বলা হয়েছিল, গত বছর ডিসেম্বরে ভারত মহাসাগরে ১৪ টি ড্রোন পাঠানো হবে। পরবর্তীকালে দেখা যায় ১২টি পাঠানো হয়েছে।
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ডিসেম্বরের শুরুতে বলেছিলেন, ভারত মহাসাগর ক্রমশ রণকৌশলের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আগামী দিনে সেখানে সামরিক ঘাঁটি বানানোর জন্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে জোর প্রতিযোগিতা শুরু হবে।
গ্লোবাল ডায়লগ সিকিউরিটি সামিটে জেনারেল রাওয়াত বলেন, সামরিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে শত্রুর আক্রমণ ঠেকানোর জন্য ব্যবহার করা উচিত। কাউকে ধ্বংস করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত নয়।’ ভারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর আরও উন্নতি করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।
চীন সীমান্তে চলতি বছরের শুরু থেকেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তার ওপরে ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতা ভারতের পক্ষে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। জুন মাসে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল লাদাখে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ১৯৬২ সালের পর চীনের এমন বীভৎস আগ্রাসী রূপ গত প্রায় ছ’দশকে দেখা যায়নি। সূত্র : দ্য ওয়াল।