কাজী জাফর স্মরণে নেতৃবৃন্দ : সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এখন সবাই উদ্বিগ্ন
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভীত হয়ে এযাবৎ কালের অপরাপর আন্দোলন সংগ্রামগুলোর মতো ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবীর আন্দোলনকেও সরকার দমন নিপিড়নের মাধ্যমে ধুলিস্যাৎ করে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, আন্দোলনকারীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, তাদের উপর হামলা করে, গ্রেফতার করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থিত এ আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা। কেননা নিরাপদ সড়কের দাবী কেবল শিক্ষার্থীদের নয় বরং এ দাবী এখন বাংলাদেশের সমগ্র মানুষের।
শনিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম হচ্ছে আনোয়ার জাহিদ। নীতিহীন রাজনীতির যুগে কাজী জাফর জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধ্রুবতারা।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখন সবাই উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে তারা বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে আজ বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ আজ সন্ত্রাস ও গণতন্ত্রের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সন্ত্রাসকে অবশ্যই রুখতে হবে। আবার সন্ত্রাসকে রুখতে হলে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চায় ফিরে যেতে হবে। যা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের ঐকান্তিক প্রত্যাশা।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কোনোভাবেই জবরদস্তিমূলক আচরণ কাম্য হতে পারে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে জোরজবরদস্তি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় হয়তো টিকে থাকা যায় কিন্তু গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না। গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব আরেকটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে সম্মান জানানো। আমরাই বলি ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। কিন্তু বর্তমান সময়ে জনগণের অধিকার কতটা প্রতিপালিত হচ্ছে? জনগণ কতটা স্বাধীন মনোভাব ব্যক্ত করতে পারছে?
তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে সরকার যতই বলুক দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে কিন্তু বিভাজনের ভয়ানক চিত্রটাও আমরা দেখছি। এই চিত্র থেকে বেরিয়ে আসার পথই হলো দেশে গণতন্ত্র আরও সুসংহতকরণ এবং অসহিষ্ণু আচরণ থেকে বেরিয়ে আসা। একটি বিষয় পরিষ্কার যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এদেশের সব মানুষের অংশগ্রহণের নির্বাচন নয়। আর তাই অবশ্যই সব মানুষের অংশগ্রহণের নির্বাচনের পথ উম্নুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাটাই এখন বেশি। আমার মনে হয় সেটি উম্নুক্ত হলেই আমাদের অনেক জাতীয় বিষয়ের মীমাংসা ও সুরাহা হবে। ক্ষমতাসীন দলের উচিত হবে সেই পরিবেশ তৈরিতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা।
সংগঠনের সভাপতি মুহম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ যুব মিশনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি নেতা আল আমিন বাদশাহ প্রমুখ।