নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। অতীতের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনকে সরকার এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। আজ শুক্রবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটার Turn out শতকরা ৬০ ভাগের বেশি, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে কেন্দ্রসহ অন্যান্য পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটি, উপকমিটি গঠন করেছে, অনুমোদনও দিয়েছে। এসকল ঘোষিত কমিটির বিষয়ে কেউ কেউ সংক্ষুব্ধ হলে কিংবা কারও অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিলের সুযোগ থাকবে। আবার কারও কমিটির বিষয়ে যে কোনও অভিযোগ ধানমন্ডি ৩/এ তে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে জমা দেওয়া যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে আরও পরিচ্ছন্ন, আধুনিক গণতান্ত্রিক এবং স্মার্টার দলে রূপান্তর করতে চাই। অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার ভীতকে আরও মজবুত করতে আওয়ামী লীগ সচেষ্ট। দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আওয়ামী লীগেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সবচেয়ে বেশি।
সরকারকে নাকি জনগণ ক্ষমা করবে না, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে বলেই বারবার শেখ হাসিনাকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছে। বিএনপির সকল কর্মসূচি রাষ্ট্র ও জনগণের বিপক্ষে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে যারা ভোট ডাকাতি শুরু করেছিল, রাতের বেলায় কারফিউ গণতন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্র শিখিয়েছিল, তাদেরকে জণগণ এখনও ক্ষমা করেনি। আর ক্ষমা করেনি বলেই বিএনপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।