কানাডায় কাজের অনুমতি পাচ্ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
কানাডা বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন করে কাজের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। নতুন এই কাজের অনুমতি কর্মসূচির আওতায় ২৭ জানুয়ারি থেকে এ–সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। এ আবেদন চলবে আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত। কানাডায় কাজের অনুমতির (ওয়ার্ক পারমিট) যে কর্মসূচি চালু আছে তার আওতায় বিদেশি পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষে তিন বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। এই কর্মসূচিটিকে স্থায়ীভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ হিসেবেই দেখা হয়।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে কানাডায় রেখে দিতে চায় দেশটির সরকার। কারণ, শ্রমিক স্বল্পতা অভিবাসীদের দিয়েই পূরণ করে কানাডা। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী কানাডায় পড়তে যাওয়া কমে গেছে। এ স্বল্পতা কাটিয়ে উঠতে দেশটির অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো কয়েকটি নীতির কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, করোনাসহ নানা কারণে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী, যাঁরা পড়াশোনা শেষ করেছেন। পোস্টগ্র্যাজুয়েট শেষ করা অনেক শিক্ষার্থীর কাজের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। কারও কারও শেষ হওয়ার পথে রয়েছে। এসব শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থী নতুন করে কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নতুন করে চাকরি খুঁজে পেতে আরও ১৮ মাস তাঁরা কানাডায় থাকার অনুমতি পাবেন।
কানাডা বিদেশি শিক্ষার্থীদের নতুন করে কাজের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। নতুন এই কাজের অনুমতি কর্মসূচির আওতায় ২৭ জানুয়ারি থেকে এ–সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। এ আবেদন চলবে আগামী বছরের ২৭ জুলাই পর্যন্ত।
কানাডার গত বছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাঁদের অর্ধেক এই পথ বেছে নিয়েছেন। কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অথবা শেষ হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে, এমন হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থী নতুন নীতিমালায় উপকৃত হবেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু এ দেশে পড়াশোনা করুন তা নয়, আমরা চাই আপনারা এ দেশে থেকেও যান।’
বিদেশী শিক্ষার্থীরা কানাডার অর্থনীতিতে বছরে ২১ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখেন। এঁরা নতুন নতুন কাজে যুক্ত হয়ে কানাডার অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। ২০১৯ সালে কানাডায় পড়াশোনা শেষ করে কাজে যুক্ত হয়ে ৫৮ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে অনেকে কাজ পেয়েছেন। আর যাঁরা পাননি বা শেষ হয়ে গেছে, তাঁদের জন্যই এই নতুন কাজের অনুমতি দিতে যাচ্ছে কানাডা সরকার।