ক্যাসিনো সাম্রাজ্যে উচ্ছ্বাস, শক্তি পুনরুদ্ধারে জোর প্রস্তুতি
পিবিসি নিউজঃ ক্যাসিনোকাণ্ডে কোণঠাসা যুবলীগের বিতর্কিত নেতারা এখন প্রকাশ্যে আসতে মরিয়া। রাজনৈতিকভাবে অপরাধের দায়মুক্তিও চান তারা। এজন্য তাদের কেউ কেউ দলীয় ফোরামে দীর্ঘদিন ধরে দেন-দরবার করছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সম্রাটের কারামুক্তি তাদের জন্য বড় এক পাওয়া। সম্রাট অনুসারীদের সবাই উচ্ছ্বসিত। আনন্দের বন্যা বইছে তাদের মধ্যে।
বুধবার বিকাল থেকে এই আনন্দ উচ্ছ্বাসের ঢেউ আছড়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসাধীন আছেন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তার অনুসারীরা হারানো শক্তি পুনরুদ্ধারে ইতোমধ্যে জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্ব ক্লিন ইমেজের সঙ্গে সংগঠন চালানোর পক্ষে। এ কারণে সম্রাটসহ বহিষ্কৃত নেতাদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন ততটা সহজ হবে না। তাছাড়া শুদ্ধি অভিযানে সম্রাটের অনুসারীদের অনেকেই হারিয়েছেন পদ-পদবি। সম্রাট নিজেও গুরুতর অসুস্থ। সব মিলিয়ে ভবিষ্যৎ পথটা মসৃণ নয়। এজন্য পর্দার আড়ালে ভিন্ন হিসাব-নিকাশও চলছে। কেননা কোনো কারণে পাশা উলটে গেলে কী হবে সেটিও আর একবার ঝালাই করে নিতে চান কেউ কেউ।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্যাসিনোসহ অবৈধ কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া হবে না। বুধবার বিকালে যুগান্তরের কাছে তিনি এমন দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোকে আইনগতভাবে বৈধতা দেওয়া হবে কিনা সেটি তার জানা নেই। এটি ভবিষ্যতের বিষয়।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সম্রাটসহ ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টরা দলে ফিরতে পারবে কিনা সেটি দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এ বিষয়ে তার মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাসিনো মামলার বেশিরভাগ আসামি এখনো পলাতক। কেউ কেউ জামিনে মুক্তি পেয়ে চলে গেছেন বিদেশে। বেশ কয়েকজন দেশে থাকলেও চলাফেরা করছেন পর্দার আড়ালে। হাতেগোনা দু-একজন প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়।
অভিযানের মুখে পদ হারানো খোদ যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এখনো মাঠের বাইরে। জেল থেকে ফিরে কৃষক লীগের সাবেক ডাকসাইটে নেতা সফিকুল ইসলাম ফিরোজ চলে গেছেন ‘স্বেচ্ছা অবসরে’। ফলে কলাবাগান এলাকায় তার একক আধিপত্য এখন পড়তির দিকে। ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুদকের জালে আটকে আছেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টি নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টু। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে পলাতক থাকলেও তিনি এখন দেশেই আছেন।’