ইহাই বোধহয় প্রকৃত সাংবাদিকতা!
পোশাক-আশাক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর কথাবার্তা শুনে আমি তো….! ইহাই বোধহয় প্রকৃত সাংবাদিকতা!
বাবুল তালুকদারঃ পূর্ণিয়া, এই ভদ্রলোকটি আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত, এখন কোথায় কাজ করেন সেটা আমার জানা নেই, তবে “পূর্ণিয়ার খোঁজ” নামে সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট তৈরির কাজ করছেন। আমার অনেক পরিচিতরাই তার নিয়মিত দর্শক, সেই সুবাদে তারা লাইক অথবা কমেন্ট করলে সেই পোস্টটি আমার কাছে চলে আসে। বাট কখনো তার ভিডিও দেখার ইচ্ছা জাগে নি!
এইতো, সেদিন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর কার্যালয়টি যখন নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে ফেলে, তখন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অফিসে ছুটে আসেন, কিন্তু পুলিশী বাধার কারণে তিনি আর প্রবেশ করতে পারেননি! এই দৃশ্য যখন ধারণ করতে আমি ব্যস্ত, ঠিক তখনই দেখছিলাম, “পূর্ণিয়া” ভদ্রলোকটি নিজ মোবাইল দিয়ে বিএনপি মহাসচিব এর চিত্র ধারণের জন্য অনেক চেষ্টা করছেন, অনেক পুলিশ ও আলোকচিত্র সাংবাদিক তাকে ঘিরে থাকার কারণে সে চিত্র ধারণ করতে তিনি বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন।
আমি দেয়ালের উপর অবস্থান করার কারণে তা বুঝতে পারছিলাম। ঠিক তখনই আমি, তার কাছ থেকে মোবাইলটি চাইলাম, বললাম আমার কাছে দিন, আমি ভিডিও করে দিচ্ছি। প্রথম হয়তো তিনি আমায় চিনতে পারেনি কারণ আমার মাথায় হেলমেট পড়া ছিল, পরবর্তীতে হেলমেটটি খোলার পর তিনি তার মোবাইলটি আমার হাতে তুলে দিলেন। তখন আমি তাকে বললাম ভাই আমি বাবুল তালুকদার। জানিনা সে আমাকে চিনেছিল কিনা?
আজ হঠাৎই, একটি ভিডিও আমার নিউজফিডে ভেসে এলো! ইচ্ছে হলো ভেতরে কি আছে একটু ঘুরে দেখি, ঢুকেই দেখি! ও…মা ! এতো দেখি কত্তবড় নি র পে ক্ষ সাংবাদিক! তাছাড়া তার পোশাক-আশাক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর কথাবার্তা শুনে আমি তো…. ….!
পুরো ভিডিওটিতে শুধু আ ম্রি কা খারাপ আর আ ম্রি কা খারাপ!… ইহাই বোধহয় প্রকৃত সাংবাদিকতা!
যাইহোক, হয়তো আমিই বুঝতে পারিনি! এটি আমারই ব্যর্থতা! সাংবাদিকতায় মাত্র দুই যুগ পাড়ি দিলাম তো, আরেকটু বড় হই, তারপর না হয় সাংবাদিকতা বুঝতে শিখব। তবে একটি কথা না বললেই নয়, এত অল্প সময়ে কিন্তু অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হয়েছে! সকল কিছু ক্যামেরার দৃষ্টিতে তুলে ধরলেও শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকতা দেখেছি হৃদয় দিয়ে, খুব কাছ থেকে, কিন্তু আজও এই মাধ্যমে লোকগুলোকে চিনে উঠতে পারলাম না! ….
সত্যি কথা বলতে কি, স্যাটেলাইট টেলিভিশন অথবা ডিজিটাল মাধ্যম আসার আগে যে মানুষগুলো ছিল এক রকম এখন পুরোপুরি ভিন্নরকম চরিত্র ধারণ করেন ! ঠিক যেন গিরগিটি মত রং বদলায়। তারা সত্যকে আড়াল করতে নানান যুক্তি তুলে ধরে! অন্যায়ের পক্ষ অবলম্বন করতে অথবা সুবিধা অর্জন করতে গিয়ে নির্দ্বিধায় সাংবাদিকতা ও নিজেকে বিক্রি করতে এতোটুকু দ্বিধাবোধ করে না!…. আফসোস! বড়ই আফসোস!…
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
# আমি সবিনয় বলতে চাই, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে যদি কেউ উল্লেখিত ভদ্রলোকটির পোস্টে লাইক অথবা কমেন্ট করেন তবে আমি তাকে আনফ্রেন্ড করতে বাধ্য হব। (সরি টু সে)
# এই ভদ্রলোকটিকে বিগত ১৫ বছর যাবত দু একবার ছাড়া আমি বিএনপি বিটে সাংবাদিকতা করতে দেখিনি, তবে হঠাৎই সেদিন দেখলাম, গুলশান কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে ভদ্রলোক টিকে প্রেস উইং এর এক কর্মকর্তা যত্ন সহকারে প্রথম সারিতে জায়গা করে দিলেন!