লাল কার্ড সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী বিকৃত ইতিহাস শেখানোর প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে শাহবাগে আয়োজিত ‘লাল কার্ড সমাবেশ’ পণ্ড করে দিয়েছে ছাত্রলীগ ও পুলিশ।
সকাল থেকেই সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থান ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়ে নাচ-গান করতে দেখা গেছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা এসে তাদের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।সমাবেশে আসা আন্দোলনকারীদের নানাভাবে হেনস্তা করেন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশকে তাদের পাশে দাড়িয়ে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ডাকা এই সমাবেশে বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিতে এসেছিলেন।নতুন বছরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে ইতিহাস বিকৃতি, সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু এবং ট্রান্সজেন্ডার/এলজিবিটি প্রমোট করার প্রতিবাদে পাঠ্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান করতে এই লালকার্ড সমাবেশ ডাকা হয়েছিল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে গান গাইছেন আর একপাশে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ।
সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে আসা জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ খালিদ নামে একজন ছাত্র বলেন, আমরা কয়েকজন জাদুঘরের গেইট সোজা চত্বরের মাঝে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে হুট করে পুলিশের এক বড় কর্তা এসে ব্যানার ছিনিয়ে নিলেন।
তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলে ধমক দিয়ে তারা বললেন, এখান থেকে চলে যাও। মাইকসহ রিকশাওয়ালাকে থানায় নিয়ে যান তারা। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের আরও সন্ত্রাসীরা এসে পুরো জায়গা দখলে নিয়ে নেয়।
খালিদ আরও বলেন, ছাত্রলীগ আমাদেরকেও সার্চ করতে শুরু করে। কয়েকজনের গায়ে হাত তোলে এবং তাড়িয়ে দেয়। পুলিশ ও ছাত্রলীগ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যায় আমাদের জায়গায়। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা চলে আসি।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ভাষায় মূলত থিয়েটার, নৃত্যকলা আর চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে একটা কালচারাল অনুষ্ঠান করছে। শাহবাগে তারা সবসময় সাংস্কৃতিক চর্চাটা রাখবে।
ছাত্রলীগের এই নেতার বয়ান অনুযায়ী, জাতীয় শিক্ষাক্রমে দেশের ঐতিহ্য বিরোধী বিকৃত ইতিহাস শেখানোর উদ্যোগের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ পণ্ড করার মাধ্যমে ছাত্রলীগ শিক্ষা ব্যবস্থায় ভারতীয় আগ্রাসনের পক্ষে পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করছে।