অভিন্ন দাবিতে আসছে যৌথ ঘোষণাপত্র
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ এবার একটি যৌথ ঘোষণাপত্র তৈরি করছে। সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে দাবি, দফা এবং রাষ্ট্র মেরামত বা সংস্কারের ব্যাপারে তাদের প্রস্তাবে কিছু পার্থক্য থাকায় তা দূর করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচিভিত্তিক ঘোষণাপত্র তৈরি করছেন তারা, যা হবে তাদের যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি।ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে তা প্রকাশ করা হতে পারে।
শুক্রবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের এক বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলন আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপি দাবি দিয়েছে ১০ দফা এবং রাষ্ট্র মেরামত বা সংস্কারের ব্যাপারে ২৭ দফা প্রস্তাব করেছে দলটি। আর গণতন্ত্র মঞ্চ দাবি, দফা এবং সংস্কারের রাজনৈতিক কর্মসূচি মিলিয়ে দিয়েছে ১৪ দফা। যদিও তাদের মধ্যে মূল ইস্যুতে অর্থাৎ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কোনো মতপার্থক্য নেই। কিন্তু এর বাইরে বিএনপি এবং মঞ্চ তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক আদর্শ এবং দল বা জোটের চিন্তা থেকে কিছু দাবি ও সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে।এখন তারা প্রস্তাবগুলো সমন্বয় করে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র তৈরি করছে।
এ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমকে দায়িত্বও দেওয়া হয়। তারা একাধিকবার বৈঠক করে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র প্রায় চূড়ান্ত করেছে।
এ নিয়ে শুক্রবারের বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়।বিকাল ৪টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক হয়। চলে দুই ঘণ্টার বেশি।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে ছিলেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ন্যূনতম দফা নির্ধারণে আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, আলোচনা চলছে। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যূনতম দফার বিষয়ে একটা যৌথ ঘোষণা অচিরেই প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, আজকের সভায় আমরা এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি তা সাফল্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির নেওয়া পূর্বের কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করেছি। পরবর্তীতে কী কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।