ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কিশোর কুমারের গান স্মরণ করলেন ফখরুল
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পার্টি। কারণ তারা মুখে বলে এক, কাজ করে আরেক। রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেকোনো মূল্যে বিরোধী দলের কর্মসূচি তারা করতে দেবেন না। অন্যদিকে দলীয় কর্মসূচিতেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
যুগপৎ আন্দোলন মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, পদযাত্রা কর্মসূচি সরকার পতন আন্দোলনে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
বিএনপির পদযাত্রাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মরণযাত্রা বলেছেন, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার এমন মন্তব্যে বোঝা যায়, কিশোর কুমারের একটা গান আছে না, মরণযাত্রা নিয়ে, ওইটা ওনার মনে পড়েছে। উনি উনার নিজের চিন্তা করছেন কিনা জানি না।’ ১২ দলীয় জোট গঠনের পর মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এটাই আনুষ্ঠানিক বৈঠক।
গত শুক্রবার গণতন্ত্রের মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব। বৈঠক শেষে ১২ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের প্রোগ্রামের সময় তিন দিন আগে থেকে যানবাহন বন্ধ করে দেয়। তিন দিন আগে পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে চেকপোস্ট বসায়। মোবাইল ফোন পর্যন্ত তারা চেক করতে থাকে। ঢাকার সমাবেশের আগে তারা ১৫ দিনের বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তারা হাজার হাজার লোককে ধরে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল। যেকোনো মূল্যে হোক বিরোধী দলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবেন না। অন্যদিকে ভিন্নমত সহ্য না করে তাদেরটা করতেই থাকবে। সেক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের সব যন্ত্রকে ব্যবহার করবে। আওয়ামী লীগের চরিত্র ও কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে এসে গেছে। তারা এদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
আর ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে ওলামায় ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের তফাজ্জল হোসেন।