বিএনপির শিমুল বিশ্বাস-সালাহ উদ্দিন টুকুর জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
পিবিসি নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের জেরে করা মামলায় দলটির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে ছয় মাসের অন্তরবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো: শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। একইসাথে তার নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ জামিন আদেশের ফলে শিমুল বিশ্বাসের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।আদালতে শিমুল বিশ্বাসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সাথে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
এর আগে গত বছর ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর- পুলিশের ওপর হামলা, হামলায় পরিকল্পনা ও উস্কানির অভিযোগে ৮ ডিসেম্বর পল্টন থানায় মামলায় করে পুলিশ।
অন্যদিকে ২০১৩ ও ২০২২ সালে পল্টন থানায় করা পৃথক দুই মামলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো: রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। একইসাথে আসামির নিয়মিত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ আদেশের ফলে টুকুর মুক্তিতে আপাতত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন।আদালতে সোমবার টুকুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন।
জহিরুল ইসলাম সুমন জানান, রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে গত বছর ৩ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর আমিন বাজার এলাকা থেকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ পল্টন থানার মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি ছিলেন। ২০২২ সালের ২৬ মে পল্টন থানায় অন্য একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি নন। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।তিন জানান, এ দুই মামলায় হাইকোর্ট সোমবার সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে জামিন দিয়েছেন। এই জামিনের ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই।