২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশি হত্যা করেছে বিএসএফ
ঢাকা: বিদায়ী ২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। বিদায়ী বছরে বেসরকারি হিসাবে সীমান্ত হত্যার শিকার ৪৩ জন বলা হলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবি, এ সংখ্যা ৩৫ জন। যা গত চার বছরের তুলনায় এবার সংখ্যা বেশি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।
বেসরকারি সংস্থাটির হিসাবে, ২০১৮ সালে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা ছিলো ১৪। এবছর তা বেড়ে ৪৩-এ দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে প্রতিবেশী এই দেশটির সীমান্তরক্ষীরা ৬৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছিল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হিসাবে এ হত্যার সংখ্যা আরও কম। আমাদের হিসাবে গতবছর সীমান্তহত্যার সংখ্যা ৩৫। গত চার বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ, আমরা বিএসএফকে এ বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’
তিনি জানান, ‘সীমান্তহত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএসএফকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিএসএফ প্রধান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তারা এ ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকার কথা বলেছেন।’
এর আগে বছরের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) জানায়, ‘২০১৯ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৪৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। ৪৩ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাকিদের নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।’
সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষদের নিহত হওয়ার ঘটনাগুলোকে ‘ঠাণ্ডা মাথায়’ হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে সংস্থাটি জানায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৪৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠে। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা কমে ৩১ এ দাঁড়ায়। ২০১৭ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ২৪ এ।